পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, আচমকা নির্মীয়মাণ ফরাক্কা সেতুর একটি গার্ডার ভেঙে পড়ায় দু’জন মারা গিয়েছেন এবং কয়েকজন জখম হয়েছেন। আহতদের মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।
গঙ্গা নদীর উপর এই সেতুটি নির্মাণের কাজ দু’বছর আগে শুরু হয়। এবছর ডিসেম্বর মাসে সেতুটির কাজ শেষ করার কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে পিলার তৈরির কাজ প্রায় ৮০শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। রবিবার সাধারণত বেশিরভাগ শ্রমিকই কাজ করেন না। কিন্তু, এদিন জনা বারো শ্রমিক সন্ধ্যার পরেও আলো জ্বালিয়ে কাজ করছিলেন। রাত পৌনে ৮টা নাগাদ হাইড্রলিকের কমপ্রেসারের সমস্যার কারণে গার্ডারটি নীচে ভেঙে পড়ে। কয়েকজন শ্রমিক দ্রুত সেখান থেকে সরে যেতে সক্ষম হলেও পাঁচজন বিপদে পড়ে যান। দু’জন সম্পূর্ণভাবে গার্ডারের নীচে চাপা পড়েন। শচীন প্রতাপ মারা গেলেও তখনও অন্য শ্রমিটির শরীরে প্রাণের স্পন্দন ছিল। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় শ্রীনিবাসের। সেতুর গার্ডার ভেঙে পড়ায় এবং তার জেরে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় এনএইচআই কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। এই কাজের মূল ঠিকাদার এ কে প্রসাদ জানিয়েছেন, এদিন কোনও কাজ হচ্ছিল না। গার্ডার স্লিপ করায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে, সাব কন্ট্রাক্টর সাধু ঘোষ জানিয়েছেন, গার্ডার তোলার কাজের সময়ই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সুনীল হালদার বলেন, যেখানে গার্ডারটি ভেঙে পড়ে সেখানে জল ছিল না। মেডিক্যালের বেডে শুয়ে জখম শ্রমিক রঞ্জন মেহেতা বলেন, কাজ করার সময় আচমকাই বিকট শব্দ করে গার্ডারটি ভেঙে পড়ে।