বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরই রাজ্য ছেড়ে পালায় জেএমবির শীর্ষ নেতারা। ঘাঁটি করে দক্ষিণ ভারতে। পুলিসি ধরপাকড়ের কারণে বাংলাদেশ থেকে টাকা আসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। জেএমবিকে টাকা জোগাতো যারা তারাও গা ঢাকা দেয়। এই অবস্থায় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ডাকাতির পরিকল্পনা করে দক্ষিণ ভারতে লুকিয়ে থাকা কওসর, হাবিবুর সহ অন্য জঙ্গি নেতারা। ২০১৮ সালে মার্চ-এপ্রিল মাসে বেঙ্গালুরুতে বেশ কয়েকটি ডাকাতি করে তারা। লুট করা টাকায় বিস্ফোরক তৈরির ল্যাবরেটরি খোলা হয়। পাশাপাশি স্লিপার সেলের সদস্যদের কাছেও টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়। নিয়োগ করা হয় নতুন জেহাদিও। কিন্তু জেএমবিকে যারা ফের সক্রিয় করার চেষ্টা করছিল, এনআইএ’র অভিযানে তারা সকলেই ধরা পড়ে যায়।
জেএমবির স্লিপার সেলের সদস্যরা কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে ডেরা পাল্টে অসমকে বেছে নিয়েছে তারা। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সেখানে নিয়মিত গিয়ে জেহাদিদের সঙ্গে বৈঠক করছে, এই তথ্য জানার পরই অসম পুলিস তল্লাশি চালিয়ে চার জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদেরকে জেরা করেই জানা যাচ্ছে, সংগঠনে এখন টাকার অভাব চলছে। এই ঘাটতি মেটাতে বাছাই করা জেহাদিদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ডাকাত গ্যাং। সূত্রের খবর, পনেরো থেকে কুড়ি জন্য সদস্যকে এজন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছে সীমান্তের ওপারের শীর্ষ জেএমবি নেতারা। তাদের প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে ‘স্মল আর্মস’। এরাজ্যে, অসমে ঘাঁটি গেড়েছে এই দলের সদস্যরা। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাবার গ্রুপ’। মালদহ, মুর্শিদাবাদ সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তারা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খরর, সীমান্তে যাঁদের আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা রয়েছে, তাঁদের আর্থিক লেনদেন কত, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে জেএমবির এই বিশেষ বাহিনী। তার ভিত্তিতেই বাছাই করে ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে টাকা আদায় করা হবে। সেই সঙ্গে সোনা বা দৈনিক নগদের লেনদেন চলে, গয়নার দোকান সহ এই ধরনের ব্যবসাস্থলে ডাকাতির পরিকল্পনা করা হয়েছে। মুখে কালো কাপড় বেঁধে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করছে তারা। বাংলাদেশের জেএমবি নেতাদের নির্দেশ, ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ নষ্ট করে দিতে হবে। যাতে কোনওভাবেই জেহাদিদের চিহ্নিত করা না যায়। দু’একটি ঘটনা ঘটিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য তাদের। যাতে অন্য ব্যবসায়ীরা ভয়ে তাদের সংগঠনে টাকা পাঠান।