কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে শহরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। সেই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি পাঁচতারা হোটেলে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আঞ্চলিক ও জাতীয় স্তরের বেশ কয়েকটি চেম্বার অব কমার্সের কর্তারা সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে একাধিক দাবিদাওয়া জানান। সেই বৈঠকেই পীযূষ গোয়েল বলেন, এরাজ্যে শিল্পের অগ্রগতি কতটা হচ্ছে, সমস্যাই বা কতটা, তার নিয়মিত পর্যালোচনা দরকার। সেই বিষয়ে রাজ্যেরই এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ভার দেন গোয়েল। তিনি ওই মন্ত্রীকে প্রতি মাসে একটি বৈঠক ডাকতে বলেন, যেখানে শিল্প সংস্থাগুলি তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে। বণিকসভাগুলি যাতে এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করতে এগিয়ে আসে, তারও আর্জি জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রেলমন্ত্রী বলেন, এরাজ্যে শিল্পের পথ কতটা এগল, তার রিপোর্ট যেন তাঁকে দিল্লিতে দেওয়া হয়।
শিল্প রাজ্য সরকারের বিষয়। তাই রাজ্যে শিল্পের বহর বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর গোড়া থেকেই উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শিল্প সংক্রান্ত একটি কোর কমিটি গঠন করেন, যার পরিচালনার দায়িত্ব ছিল শিল্পমন্ত্রীর উপর। বণিকসভাগুলির শীর্ষকর্তারা সেই বৈঠকে নিয়মিত হাজির হতেন। শিল্পের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য দপ্তরের মন্ত্রী এবং আমলারাও সেই বৈঠকে যোগ দিতেন এবং শিল্প সংক্রান্ত জট কাটাতে উদ্যোগী হতেন। পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রী আরও একটি কমিটি গড়েন, যেখানে শিল্প সংক্রান্ত সমস্যার মোকাবিলার পথ বাতলানো হয়।
শিল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে পথে এগিয়েছেন, সেই একই পথে কেন্দ্রীয় সরকারও হাঁটার পন্থা নেওয়ায় অনেকেই রাজনীতির আভাস দেখছেন। শিল্পমহলের একাংশের বক্তব্য, নিয়মিত বৈঠক ডাকার মাধ্যমে আসলে এরাজ্যের শিল্পপতিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোকেই পাখির চোখ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আঞ্চলিক সমস্যাগুলির দিকে দিল্লি যেভাবে নজর দিতে চাইছে, তাতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ফের সংঘাতের পথ প্রশস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের নতুন মাধ্যম তৈরি হওয়ায় খুশি অনেকেই।