বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
কলকাতা সহ পাঁচটি কর্পোরেশন ও ৮৮টি পুরসভার ভোট। আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের শহুরে ভোটারদের মনোভাব বুঝে নিতে আসন্ন পুরভোটের বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষত, গত লোকসভা ভোটের পর থেকেই রাজ্যের বিরোধী শিবিরের বিন্যাস বদলে গিয়ে নতুন মেরুকরণের রাজনীতি দেখা দিয়েছে। সেই সূত্রে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি লোকসভায় সাফল্য পেয়ে এবার পুরভোটেও সেই ধারা বজায় রাখতে তৎপর হবে। তবে এখনও পর্যন্ত খাতা-কলমে একটি নির্বাচনী কমিটি গঠন ছাড়া বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল সহ বিরোধীদের নাগরিকত্ব আইন বিরোধী জোরালো আন্দোলনের মোকাবিলাতেই হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। বিজেপির এই অপ্রস্ততির সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচনের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের পর থেকেই দলনেত্রীর নির্দেশে তৃণমূল জনসংযোগ বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছে। একইসঙ্গে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) পেশাদার সংস্থা ‘দিদিকে বলো’ চালু করেছে। এই কর্মসূচি যেমন সাধারণ মানুষের সঙ্গে দলের সংযোগ বৃদ্ধি করেছে, তেমনই উপর থেকে নিচুতলা পর্যন্ত সংগঠনের খোঁজ খবরও পৌঁছে যাচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। পাশাপাশি তৃণমূল স্তরে সমীক্ষা চালিয়ে পুরসভা ভিত্তিক পেশাদারি রিপোর্টও তৈরি হয়েছে। ক্ষেত্র সমীক্ষার পাশাপাশি ফোনেও দলের নিচুতলার মনোভাব যাচাইয়ের কাজও চলছে।
পুরভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে এইসব রিপোর্ট বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের এই উচ্চপর্যায়ের কমিটি প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে ওয়ার্ড ভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি গঠন সহ পুরো বিষয়টির তদারকি করবেন। সুত্রের দাবি, পিকের সমীক্ষার সৌজন্যে সমস্ত ওয়ার্ডের তথ্য এখন তৃণমূলের হাতে। সেই অনুসারে ওয়ার্ডের সমস্যা থেকে বিগত পুরবোর্ডের সাফল্য বা খামতি, এবং সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলার সম্পর্কে নাগরিকদের মনোভাব, সবই এখন তাদের সংগ্রহে রয়েছে। প্রয়োজনে সেইসব তথ্য কাজে লাগিয়েই প্রার্থী বাছাই যেমন হবে, তেমনই প্রতি ওয়ার্ডে কোনও ইস্যুকে সামনে ধরে নির্বাচনী যুদ্ধে দল অবতীর্ণ হবে, তাও এই কমিটির সদস্যরা চূড়ান্ত করবেন বলে তৃণমূলের সূত্রের দাবি। একদিকে এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর বিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া, অন্যদিকে সার্বিকভাবে পুর এলাকার তথা রাজ্যের উন্নয়ন, এই দুই পুঁজির ভরসায় লোকসভায় ভোটে যেটুকু জমি হারিয়েছিল, তা উদ্ধার করাই প্রধান লক্ষ্য তৃণমূলের। কেননা, এই ফলাফলের উপরেই পরবর্তী বিধানসভা ভোটের অভিমুখ নির্ধারিত হবে বলেই তৃণমূল নেতৃত্বের বিশ্বাস।