পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাংলার রাজনীতিতে এখন কর্পোরেট স্টাইলের ছোঁয়া লেগেছে। বিজেপির মতো দল রীতিমতো অঙ্ক কষে ভোটের প্রচার করে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচন থেকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তখন ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে নরেন্দ্র মোদি প্রচার চালিয়েছিলেন বলে জোর চর্চা হয়। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রোধে সেই পিকেই এখন বড় ভরসা তৃণমূলের। তাই তাঁর পরামর্শেই চলছে শাসক দলের নেতা থেকে জনপ্রতিনিধিরা। বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, পিকের টিম প্রতি বিধায়ককে নিজের কর্মকাণ্ড ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য নিজস্ব ফেসবুক পেজ খুলতে পরামর্শ দেন। তবে শুধু পরামর্শ দিয়েই থেমে থাকেনি তারা। ফেসবুক পেজে বিধায়করা কী কী পোস্ট করছেন এবং পেজটি কতটা জনপ্রিয় হচ্ছে তার তথ্যও রেখেছে টিম পিকে। এবার সেই তালিকাই বিধায়কদের পাঠিয়েছে ওই কর্পোরেট সংস্থা। সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গিয়েছে ২০ হাজারের অধিক লাইক পড়া পেজকে ‘এক্সিলেন্ট’ মর্যাদা দিয়েছে তারা। এরপর ১০ হাজারের অধিক লাইক থাকলে ‘ভেরিগুড’, পাঁচ হাজারের অধিক হলে ‘গুড’, এমনকী দু’হাজারের বেশি লাইককেও ‘নট ব্যাড’ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শাসক দলের চিন্তার বিষয়, এই চারটি বিভাগে রয়েছে মাত্র শাসক দলের ৩৩ জন বিধায়ক। বাকিদের সবার অবস্থা খারাপ। তালিকার প্রথম স্থানে লক্ষ্মীরতন শুক্লা ৩৬ হাজার ৭১২, দ্বিতীয় শুভেন্দু অধিকারীর ৩৩ হাজার ১৩০, তৃতীয় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৩২ হাজার ৪৬৩, চতুর্থ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ২২ হাজার ৫৫৬ এবং পঞ্চম জিতেন্দ্র তেওয়ারি ২২ হাজার ৩০৮ লাইক পেয়েছেন। তালিকা অনুযায়ী বিধায়ক তথা এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাইকের সংখ্যা ৭হাজার১৫৯, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ২ হাজার ২৬১, মলয় ঘটক ১হাজার ৯১০, বিধান উপাধ্যায় ১ হাজার ২০২, মেমারির নার্গিস বেগম ১ হাজার ৫৯, গলসির অলোককুমার মাঝি ১হাজার ২টি। বাকিদের অবস্থা আরও খারাপ। এমনকী বহু বিধায়ক আলাদা করে ফেসবুক পেজও খোলেননি বলে তালিকা থেকে প্রকাশ পেয়েছে। তবে, পঞ্চম স্থানে থাকলেও ফেসবুক পেজের সাফল্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি আসানসোলের মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি।