কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন বাজেট নিয়ে আলোচনায় বিরোধীরা অভিযোগ করেন, মেলা, খেলা, উৎসব করতেই এই সরকারের টাকা চলে যাচ্ছে। আর বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে সরকারি কর্মচারী। বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার কথা বলা হয়নি। শুধুমাত্র মদ বিক্রি বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ে জোর দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, মদ বিক্রিতে আমাদের রাজ্য প্রথম। মদ মুক্ত বাংলা হোক। বিহার যদি পারে, আমরা কেন পারব না। মদ থেকে দিন দিন আয় বাড়ছে রাজ্যের। পুলিসও মানুষকে হয়রানি করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকা তুলছে। ওই দলের শঙ্কর মালাকার বলেন, উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যা তৈরি করেছেন। ভালো উদ্যোগ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যখন যান, তখন আলো জ্বলে, বাকি সময় আলো জ্বলে না। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে ব্যস্ত। তিনি উত্তরকন্যাতে বসেন না। শিলিগুড়ির চাপ কমাতে পাশে একটি উপনগরী তৈরি করা দরকার।
বহুদিন পরে এদিন বাজেটের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন আব্দুল করিম চৌধুরী। তাঁর বক্তৃতার শেষে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আব্দুল করিম চৌধুরী ১০ বারের নির্বাচিত বিধায়ক। আপনি সুস্থ থাকুন। তৃণমূলের সদস্য কালীপদ মণ্ডল, পরশ দত্ত, প্রদ্যুৎ ঘোষ, নার্গিস বেগম, সমরেশ দাস, ফিরদৌসি বেগম, শ্যামল মণ্ডল, দীনেন রায়, মানস মজুমদার, রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, দেবেশ মণ্ডল এদিন বাজেট প্রস্তাবের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন। পরশ দত্ত এমএলএ ফান্ডের টাকা ৬০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে এক কোটি করার প্রস্তাব দেন। শাসকদলের বিধায়কের এই দাবিতে সকলেই হতবাক। বিরোধীরা টেবিল চাপড়ে সহমত পোষণ করেন। কংগ্রেসের পক্ষে বক্তব্য রাখেন শঙ্কর মালাকার, ভূপেন্দ্রনাথ হালদার, মইনুল হক। বামফ্রন্টের তরফে বাজেটের সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন রামশঙ্কর হালদার, রুণু দত্ত, আনিসুর রহমান, নগেন্দ্রনাথ রায়, শ্যামলী প্রধান, সন্তোষ দেবরায়, সুজন চক্রবর্তী। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিধায়ক রোহিত শর্মা আলোচনা অংশ নেন।
মমতাকে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বলে আখ্যা দেন তৃণমূলের শ্যামল মণ্ডল। তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌস বেগম বলেন, বিদ্যুতে ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের উপকার করলেন। অবশ্য বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বাজেট প্রস্তাব বিভ্রান্তিকর। বরাদ্দ গতবারের তুলনায় কমে গিয়েছে বলে বাজেট প্রস্তাবে দেখানো হয়েছে। ভোট পাওয়ার জন্য এই বাজেট। ভিন রাজ্যে যেসব পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, তাঁদের কার্ড দেওয়া হোক। বিদ্যুতে ছাড় ৭৫ ইউনিট থেকে বাড়িয়ে ২০০ ইউনিট করা হোক। কয়লা খনি, বালি খাদানে দুর্নীতি হচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসা উচিত। তাহলে রাজ্যের আয় বাড়বে। যেসব ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে, তা বাড়িয়ে দু’হাজার টাকা করা হোক। জবাবি ভাষণে এই বাজেটকে মানুষের বাজেট বলে আখ্যা দেন অমিত মিত্র। এই বাজেটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে বলে তিনি জানান।