বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই অবশ্য অতিথি সহ বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী কলেজ শিক্ষকদের বর্ধিত ভাতা দেওয়ার কাজ শুরু করার জন্য দপ্তরের তরফে তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়। এই ধরনের মোট সাড়ে ১৪ হাজার অস্থায়ী শিক্ষকদের কাছ থেকে অনলাইনে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের মেয়াদ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ যাবতীয় নথি আনানোর পর তা যাচাইয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন আটজন জয়েন্ট ডিপিআই পদমর্যাদার অফিসার। এখনও পর্যন্ত সিংহভাগ শিক্ষকেরই নথি যাচাইয়ের কাজ প্রাথমিকভাবে শেষ হয়েছে। অতিথি শিক্ষকদের পাশাপাশি পার্ট টাইম এবং চুক্তিভিত্তিক কলেজ শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও দপ্তরের এই চার সদস্যের বিশেষ কমিটির ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত যাচাই প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বর্ধিত ভাতা চালু করার আগে এই শিক্ষকদের দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত দফায় ফের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা কেন করা হচ্ছে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে। দপ্তর সূত্রের খবর, অনলাইনের মাধ্যমে যে নথি বা তথ্য দপ্তরের কাছে এসেছে, বেশ কিছু শিক্ষকের ক্ষেত্রে তার সত্যাসত্য নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। যোগ্যতা বা কাজের অভিজ্ঞতার মেয়াদ নিয়ে মূলত এই ধন্দ তৈরি হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলার কয়েকটি কলেজের ক্ষেত্রে এই ধরনের নজির ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে আট হাজার অতিথি শিক্ষকের মধ্যে অন্তত ৭৫০ জনের ক্ষেত্রে এই গরমিল রয়েছে বলে খবর আসে দপ্তরে। শিক্ষামন্ত্রীর কানে সে খবর আসার পরই স্বচ্ছতা রক্ষার্থে সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফার ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার পথ বাছা হয়েছে।
পার্থবাবু বলেন, ইউজিসি’র যোগ্যতা মান থাকা এবং না-থাকা, দুই ধরনের অতিথি শিক্ষকদের ক্ষেত্রেই এই প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে। ইন্টারভিউ পার করলেই তাঁরা বর্ধিত ভাতা পাওয়ার যোগ্য হবেন। যে সব শিক্ষক এখনও প্রাথমিক যাচাইয়ের জন্য অনলাইনে নথি জমা করেননি, তাঁরাও এই সুযোগ পাবেন। সেজন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা ধার্য করা হবে।