পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রথমে ভাবা হয়েছিল, রাজ্যগুলির সংশয় দূর করতে মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক হবে দিল্লিতে। কিন্তু ইতিমধ্যেই জনগণনা সংক্রান্ত একটি বৈঠকে হাজির হয়নি পশ্চিমবঙ্গ। তাই সেন্সাস কর্তারা চাইছেন ব্যক্তিগতভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝাবেন যে এনপিআর প্রক্রিয়ায় কোনও নথি অথবা প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে না। সবটাই স্বেচ্ছায় দেওয়া তথ্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকই সেন্সাস কমিশনারকে বলেছে, প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা জরুরি। বিরোধ বজায় রেখে জনগণনা চলতে পারে না। গত দু’দিন ধরে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে সেন্সাস কর্তাদের। আবার মহারাষ্ট্রে শিবসেনা প্রধান মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে পয়লা মে থেকে এনপিআর চালু করতে রাজি হয়েছেন। এই নিয়ে মহারাষ্ট্রে জলঘোলাও শুরু হয়েছে। কারণ কংগ্রেস ও শারদ পাওয়ারের দল ওই সরকারের অঙ্গ। তারা এনপিআরের বিরোধী।
সেন্সাস কর্তারা অন্য রাজ্যের পাশাপাশি যেতে পারেন বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে। নীতীশ কুমার এনডিএ’তে থাকলেও বিরোধিতা করছেন এনপিআরের। তাই তাঁকে সন্তুষ্ট করতে হবে। বিশেষ করে সামনেই যখন বিহারে ভোট। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সবথেকে বড় উদ্বেগ পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে। কারণ, এনআরসি’র পর এনপিআর নিয়েও কড়া অবস্থান নিয়েছেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গে এনপিআর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কাজ চালু হলেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এনপিআর প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত এমন কিছু প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা সন্দেহের সৃষ্টি করছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এনপিআর ২০১০ সালেও হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পিতামাতার পূর্বতন বাসস্থান ও জন্মস্থান নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। এবার পিতামাতাকে নিয়ে এত খোঁজ খবর করা হচ্ছে কেন? বিরোধীদের বক্তব্য, এনপিআর আদতে হতে চলেছে এনআরসিরই প্রস্তুতপর্ব। এই সন্দেহই নিরসন করতে চান সেন্সাস কর্তারা।