বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আজ এ ব্যাপারে দলের অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, ‘গোটা রাজ্যজুড়েই আমরা কেন্দ্রীয় বাজেটের সুফল সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরব। এই সাধারণ বাজেটের ফলে বিশেষ করে গরিব এবং মধ্যবিত্ত মানুষ কীভাবে উপকৃত হবেন, তারও সবিস্তার ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। তবে একইসঙ্গে তুলে ধরা হবে এবারের রাজ্য বাজেটের খামতিগুলোকেও। পুরভোটের প্রচারে অবশ্যই সাধারণ বাজেটকে ইস্যু করবে দল।’ জানা যাচ্ছে, কর্মশালা অথবা বুদ্ধিজীবী সম্মেলনগুলিতে রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি অন্তত একজন করে কেন্দ্রীয় পার্টির প্রতিনিধিকে নিয়ে আসার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে বঙ্গ বিজেপি। বিশেষ করে সাধারণ বাজেট নিয়ে যেসব কর্মশালা হবে, সেগুলিতে অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমন মানুষকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কর্মশালা বা বুদ্ধিজীবী সম্মেলনের পর এই ইস্যুতে একাধিক সাংবাদিক বৈঠক করা যায় কি না, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
দলীয় সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাজেটের সুফল বোঝানোর উদ্দেশ্যে আয়োজিত কর্মশালাগুলি হবে এক সপ্তাহব্যাপী। এর জন্য প্রাথমিকভাবে আগামীকাল, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাছা হয়েছে। অন্যদিকে, বুদ্ধিজীবী সম্মেলনগুলির জন্য প্রাথমিকভাবে এক মাসের সময় নির্ধারিত করা হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তবে পরিস্থিতির গুরুত্বের উপর বিবেচনা করে এই সময়সীমা আরও বৃদ্ধি করা হতে পারে। এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় পার্টি সূত্রে। এর আগে দিল্লি ভোটের নির্বাচনী প্রচারে ভাষণের একটি বড় সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যয় করেছিলেন সাধারণ বাজেটের সুফল ব্যাখ্যা করতে। মনে করা হচ্ছে, পুরভোটের নির্বাচনী প্রচারে জে পি নাড্ডার নির্দেশ মেনে সেই রাজনৈতিক রণকৌশলই গ্রহণ করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। দলীয় নেতৃত্বের একাংশ বলছেন, সারা দেশেই অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে মোদি সরকারকে তোপ দাগছে বিরোধী দলগুলি। কেন্দ্রীয় বাজেটের সুফল ব্যাখ্যা করে বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগেরও জবাব দেওয়া হবে।