পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আলিপুর আদালতে টোটোর পেটেন্ট প্রাপক কণিষ্ক সিনহার অভিযোগ ছিল, প্রতিটি এমন গাড়ি থেকে পেটেন্ট-ফি বাবদ তাঁর সংস্থার পাঁচ হাজার টাকা প্রাপ্য। কিন্তু, তা না দিয়ে এবং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসরণ না করে এখনও পর্যন্ত ১১ হাজার ১৪২টি টোটো রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। ফলে ওই সংস্থার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। যদি এভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলতে থাকে, তাহলে সেই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে আলিপুর আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় কণিষ্কবাবু চেয়েছিলেন, যে সব টোটো নথিভুক্ত হয়েছে, তার হিসেব ও তথ্য দেওয়া হোক। সেইসঙ্গে এমন পদ্ধতির উপর সাময়িক ও বাধ্যতামূলক স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। যাতে তাঁর পেটেন্টের অধিকার খর্ব না হয়। কিন্তু, আলিপুর আদালত সেই স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেয়। যা হাইকোর্টে তিনি চ্যালেঞ্জ করেন।
হাইকোর্ট সবদিক খতিয়ে দেখে রায়ে বলেছে, নিম্ন আদালতে রাজ্য সরকার কোনও লিখিত আপত্তি জানায়নি। তা সত্ত্বেও বিচারক রায়ে বলেছেন, কীভাবে পেটেন্ট স্বার্থ লঙ্ঘিত হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে কোনও লিখিত বক্তব্য আবেদনে নেই। অথচ পেটেন্টের স্বার্থে নির্দিষ্টভাবে হস্তক্ষেপ করার স্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তাই বিচারকের অভিমত সঠিক নয়। এই সূত্র ধরে বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও পক্ষের হয়ে নতুন মামলা খাড়া করা আদালতের কাজ নয়। বিস্মিত হাইকোর্ট এও বলেছে, সাময়িক স্থগিতাদেশ চেয়ে হওয়া মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নিম্ন আদালত নিজেই কী করে প্রশ্ন তোলে।
এই প্রেক্ষাপটে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত খারিজ করে বেঞ্চ বলেছে, হাইকোর্টের রায় হাতে পাওয়ার এক মাসের মধ্যে সাময়িক স্থগিতাদেশ চেয়ে কণিষ্ক সিনহার করা আবেদনের নতুন করে শুনানি করতে হবে।