কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন দুর্ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক অসিত মজুমদার, জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবরা আহতদের চিকিৎসার তদারকি থেকে তাদের কলকাতায় পাঠানোর উদ্যোগ নেন। এমনকী যানজট বাঁচিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে কলকাতায় নিতে যেতে গ্রিন করিডরের পরিকল্পনাও রাজ্য পুলিসের মাধ্যমে তাঁরা করে দেন। বিকেলে বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ইমামবাড়া হাসপাতালে যান। দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলে যান ট্রাফিক পুলিসের আইজি তন্ময় রায়চৌধুরী।
ইমামবাড়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋষভ সিং ও দীপ্তাংশু ভকতকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। তারা শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। ঋষভের বাবা শ্রীরামপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার সন্তোষ সিং। চুঁচুড়ায় চিকিৎসাধীন ছাত্রের নাম অমরজিৎ সাহা, সে বৈদ্যবাটির বাসিন্দা। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ১২ জন প্রতিদিনই চুঁচুড়ার একটি বেসরকারি স্কুলে পড়তে বোলেরো গাড়িতে করে আসত। এদিন পোলবার কামদেবপুরের কাছে একটি দশ চাকার লরি আচমকা বাঁক নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দিল্লি রোডের পাশে থাকা পোলে ধাক্কা দিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়।
ওই সময় এলাকা দিয়ে আবগারি দপ্তরের একটি গাড়ি যাচ্ছিল। তাঁরাই স্থানীয়দের ডেকে ছাত্রদের উদ্ধার করেন। এরপর তিন ছাত্র ও গাড়ির চালককে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের জটিল পরিস্থিতি এবং তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কদের উদ্যোগে চিকিৎসার জন্যে মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়। দু’জনের অবস্থা গুরুতর বুঝে তাদের এসএসকেএমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর রাজ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জেলা ও চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিস গ্রিন করিডর করে নিয়ে গিয়ে তাদের এসএসকেএমে ভর্তি করায়।
পোলবা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত গোল বলেন, দশচাকার গাড়িটি দ্রুত বাঁক নেওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে। বিধায়ক অসিতবাবু বলেন, পুলিস থেকে প্রশাসন, সাংসদ কল্যাণবাবু, মন্ত্রী অরূপ রায় খুব সাহায্য করেছেন। এখন বাচ্চা তিনটে সুস্থ হলেই নিশ্চিন্ত। সাংসদ কল্যাণবাবু বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে গ্রিন করিডর করা হয়েছিল।