কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথমার্ধে রাজ্যপালের বাজেট ভাষণকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্যের সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার প্রতি লাগাতার বিমাতৃসুলভ আচরণ করে যাচ্ছে কেন্দ্র। চরম বঞ্চনা আর বৈষম্য। বাংলাকে বঞ্চনা করে কেন্দ্র যদি মনে করে তারা সব দখল করে নেবে, তাহলে সেটা ভুল। মাথায় ফেট্টি বেঁধে গায়ের জোরে সব দখলদারি, এখানে চলবে না। এরপরই অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত বিজেপি’র পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গাকে মমতার পরামর্শ, মনোজ, আপনার পার্টিকে বোঝান। এটা ইউপি নয়, বাংলা। চোখ, মুখ বুঁজে থাকবে না বাংলা। অন্য জায়গায় বোলি নেহি, গোলি চলতে পারে, কিন্তু এখানে উল্টো। বাংলা সংগ্রাম-আন্দোলনের পীঠস্থান। এখানে বুলি চলে, গুলি নয়। স্পষ্ট করে আবার বলছি, এখানে সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি কোনওটাই হবে না।
এরপর ফের বিজেপির পরিষদীয় নেতাকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আদিবাসীদের বিয়ে দেওয়ার নাম করে ধর্মান্তরকরণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এটা করবেন না। বিয়ে দেওয়ার নামে এই অপচেষ্টা বন্ধ করুন। মমতা বলেন, এভাবে দেশ চলে না, চলতে পারে না। ভয় দেখিয়ে, গায়ের জোরে যখন তখন গুলি চালিয়ে মানুষের কন্ঠকে বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। বোলি নেহি, গোলি চলেগা! গণতান্ত্রিক একটা দেশে এটা কি ঠিক! এগুলো সামলান, না সামলালে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।
রাজ্যপালের বাজেট ভাষণের আলোচনায় অংশ নিয়ে এদিন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। জবাবি ভাষণে তার যথাযথ জবাবও দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানো এবং ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার হতাশা থেকেই যে বাম-কংগ্রেস কুৎসা করছে। তাঁর কটাক্ষ, কংগ্রেস যত সিপিএমের কাছে যাচ্ছে, ততই সাইনবোর্ড হচ্ছে। কংগ্রেস বরাবরই সিপিএমের ডান হাত। সে কারণেই যে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দল গড়েছেন, তাও জানান মমতা। বামেদের কটাক্ষবাণে বিঁধে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জ্ঞান দেবেন না। ৩৪ বছরে অনেক দেখেছি। বাংলার সর্বত্র শুধু অত্যাচার করেছেন। বছরের পর বছর ভোটে জিতেছেন, কিন্তু কোনও কাজই করেননি। বামেদের নিয়ে শ্লেষের সুর মমতার গলায়, ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে তো মন্ত্রিসভার তালিকাই বানিয়ে ফেলেছিলেন। কী হল! লাড্ডু জুটল। এবার তার চেয়েও বড় রাজভোগ রয়েছে, অপেক্ষা করুন। কুৎসা, অপপ্রচার, মিটিং-মিছিল সব করছেন। আর টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য বারবার বলছেন, এখানে গণতন্ত্র নেই।