কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কলকাতা লাগোয়া যেসব পুরসভায় বিশুদ্ধ পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, সেগুলি হল, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, চন্দননগর, দমদম, বিধাননগর, বরানগর, হাওড়া ও উলুবেড়িয়া। শ্রীরামপুরে ৭০ কোটি টাকা খরচ করে জলাধার, পাইপলাইন তৈরি করা হচ্ছে। উত্তরপাড়ায় খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। চন্দননগর পুরসভায় ২০ কোটি টাকা খরচ করে জলপ্রকল্প তৈরি হয়েছে। দমদম পুরসভায় ৩২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বিধাননগর পুরসভায় ১১৬ কোটি টাকা খরচ করে দুটি জলাধার, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে। বিধাননগরে ভূগর্ভস্থ জল তোলা বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে পুরদপ্তর। বরানগর পুরসভায় ১০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। হাওড়ায় ৭০ কোটি টাকা এবং উলুবেড়িয়ায় ৭৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এভাবে মোট ৪২৩ কোটি টাকা খরচ করে ওই আটটি পুরসভায় জলপ্রকল্প তৈরি হয়েছে। এপ্রিল মাসে যেহেতু পুরসভার ভোট রয়েছে, তাই তার আগেই অর্থাৎ মার্চ মাসে এগুলির উদ্বোধন হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এছাড়াও কলকাতার কাছাকাছি আরও কিছু পুরসভায় জলপ্রকল্পের কাজ জোরকদমে চলছে। সেগুলি হল, সোনারপুর-রাজপুর, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, মহেশতলা, কাঁচরাপাড়া। এছাড়াও হুগলি জেলার শহরাঞ্চলের সাতটি পুরসভার ও ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের জন্য উত্তরপাড়ায় ৫৫ মিলিয়ন গ্যালন ক্ষমতাসম্পন্ন বড় জলপ্রকল্প তৈরি হবে। গঙ্গার জল পরিশোধন করে মানুষের পানযোগ্য করা হবে। সোনারপুর-রাজপুর পুরসভায় ২৭০ কোটি টাকা খরচ করে জলপ্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হয়েছে। এখন ২১৫ কোটি টাকা ব্যয় করে তৃতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। ২৮৫ কোটি টাকা খরচ করে জলপ্রকল্প তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ দমদম পুরসভায়। এর জন্য বাঙ্গুর অ্যাভিনিউতে একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলছে। যাতে কলকাতার লাগোয়া দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় সবার বাড়িতে পরিস্রুত জল যায়, তার কাজ শুরু হয়েছে।
৯৭ কোটি টাকা খরচ করে উত্তর দমদম পুরসভায় জলপ্রকল্প তৈরির কাজ চলছে। মহেশতলা, বজবজ ও পুজালি এলাকার ৪০ মিলিয়ন গ্যালন ক্ষমতাসম্পন্ন জলপ্রকল্প তৈরি হচ্ছে। যার খরচ ধরা হয়েছে ৩৫৮ কোটি টাকা। ৫০ কোটি টাকা খরচ করে কাঁচরাপাড়া পুরসভায় জলপ্রকল্পের কাজ চলছে। আগামী জুলাই মাসে সেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পই তৈরি করছে কেএমডিএ। কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করতে গিয়ে কোন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে, কোন প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে, তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সময় পেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, না হলে পুরমন্ত্রী ববি হাকিম ওই সব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যেক নাগরিকের কাছে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াই পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাছে প্রধান অগ্রাধিকার। সেই সব জল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সম্প্রতি বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যান এবং কেএমডিএ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দ্রুতগতিতে কাজ শেষ করার জন্য বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।