কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সুজনবাবুর প্রশ্নে মমতা পাল্টা খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, মানুষ হাজরা ভুলে যায়নি। ৩৫ বছরে কী হয়েছে, তাও আমরা মনে রেখেছি। রাজনৈতিক হতাশা থেকে এ ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ঐশীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ৩৫ বছরে যদি গণতন্ত্রের কোনও পরিসর না থাকত, তাহলে তো তৃণমূলের জন্মই হতো না। তার মানে নিশ্চয়ই তখন প্রতিবাদের জায়গা ছিল। তবে, মনে রাখতে হবে, সিএএ-এনআরসি’র বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু একজন পক্ষ। কিন্তু তাঁকেও তো এবার একটা পক্ষ নিতে হবে। নাহলে বিজেপি বিরোধী এই আন্দোলনের শক্তিক্ষয় হবে। এরপরেই তিনি চলে যান বিজেপি-আরএসএসের সমালোচনায়। তিনি বলেন, এরা গোটা দেশ বিক্রি করে দিতে চাইছে। মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি করছে। মানুষের এমন অবস্থা, পার্লে-জি’র পাঁচ টাকার বিস্কুট কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই। মারুতি-সুজুকির মতো কোম্পানি শ্রমিকদের বসিয়ে দিচ্ছে। সেনাদের নিয়েও চলছে রাজনীতি। তাঁরা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না, জুতো পাচ্ছেন না। তাঁরা ব্যাপক সমস্যায় রয়েছেন।
ঐশী যাদবপুরের তিন নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে রাজা এসসি মল্লিক রোড ধরে মিছিল করে চার নম্বর গেটের উল্টোদিকে সভা করেন। সেখানে তিনি বলেন, এবিভিপি কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকলে গণতন্ত্রের পরিসর কীভাবে বিঘ্নিত হয়, তার প্রমাণ জেএনইউ। আশা করব, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের ছুঁড়ে ফেলা হবে। সিএএ-এনআরসি’র প্রতিবাদে শুধুমাত্র জেএনইউ বা জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া নয়, এ রাজ্যের কলকাতা যাদবপুর-প্রেসিডেন্সিও সমান তালে লড়ছে। তবে, এদিন ঐশীর ক্যাম্পাসে ঢোকা নিয়ে যাদবপুরের এবিভিপি ইউনিট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে। ঐশী এদিন চার নম্বর গেট দিয়ে ফুট দশেক ভিতরে ঢুকলেও তার বেশি যাননি। তাই এই অভিযোগ কতটা গুরুত্ব পাবে, তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
হাওড়ার শিবপুরের আইআইইএসটিতেও এসএফআইয়ের একটি মিছিলে অংশ নেন ঐশী। সেটি আসে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত। সেখানে তিনি বলেন, পুলওয়ামার শহিদদের নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। তাঁদের পরিবারের লোকজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। ক’জন চাকরি পেয়েছেন? এ রাজ্যের শহিদ বাবলু কোলে বা সুদীপ বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার কথা থাকলেও, তা তাঁরা এখনও পাননি বলেই শুনেছি। শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ, ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। শহিদ সুদীপ্ত গুপ্ত, স্বপন কোলের মতো ছাত্রদের আত্মত্যাগ আমাদের আরও সাহস জোগায়। ঐশী প্রেসিডেন্সিতে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক একটি আলোচনা সভাতেও যোগ দেন। সেখানেও কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হন। রাতের দিকে যান পার্ক সার্কাসের সিএএ-এনআরসি বিরোধী অবস্থান মঞ্চে।