গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর ভবানীপুর, পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের ফুলবাড়ি-ডাবগ্রাম, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। বিগত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের ফারাক দেখিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন, বাম-কংগ্রেসের ভোট যদি বিজেপি’র দিকে চলে যায়, তাহলে এই সব ক্ষেত্রে কী হয়েছিল? তিনি এবং কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী সদনের ভিতরে ও বাইরে এই ধরনের উদাহরণকে হাতিয়ার করে বলেন, বাম-কংগ্রেস কখনও আদর্শগতভাবে তাদের ভোট বিজেপিতে ট্রান্সফার করতে বলবে না। আসলে মানুষ পরিস্থিতির ভিত্তিতে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্যের তৃণমূল যেভাবে দখলদারির রাজত্ব চালাচ্ছে, দল ভাঙানোসহ নানা ইস্যুতে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে চলেছে তাতে তিতিবিরক্ত হয়ে মানুষ একটি দলকে বেছে নিয়েছে। যেমন এবার দিল্লির ভোটে হয়েছে। বিজেপিকে শিক্ষা দিতে তারা আপ’কে বেছে নিয়েছে। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য সুজনকে নিশানা করে পাল্টা বলেন, ভবানীপুর ছোট জায়গা। ওটা আমরা বুঝে নেব। কিন্তু যাদবপুরে তো আপনিও পিছিয়ে গিয়েছেন। তাই আমায় জ্ঞান দিতে আসবেন না।
জলঙ্গিতে নাগরিকত্ব ইস্যুতে আন্দোলনরত দুই সংখ্যালঘু বিক্ষোভকারীর গুলিতে খুন হওয়ার ঘটনা কেন রাজ্যপালের ভাষণে ঠাঁই পায়নি, তা এদিন তুলে ধরেন সুজন-মনোজরা। মুখ্যমন্ত্রী তাতে চটে গিয়ে বলেন, যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু কেন সরস্বতী পুজোর দিন ধর্মঘট ডেকে আন্দোলন করা হচ্ছিল? দুর্গাপুজোর সময় আন্দোলন করলে কি বাংলার মানুষ মেনে নেবে? ওখানে সাম্প্রদায়িক তাস খেলতে গিয়েছিলেন আপনারা। মমতার এই জবাবকে ফের অস্ত্র করেন বিরোধী দুই নেতা। পরে তাঁরা বলেন, জলঙ্গির ঘটনা নিয়ে আরএসএস-দিলীপ ঘোষরা যে ভাষায় কথা বলেছেন, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও সেই সুর শোনা গেল। নাগপুরের নির্দেশেই কি তিনি এই ধরনের কথা বলছেন? সরস্বতী পুজোর দিন আন্দোলন করা যাবে না, একথা কোথায় লেখা রয়েছে? তাছাড়া যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে সেটা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত তল্লাট। যাই হোক না কেন, একজন মোয়াজ্জেন এবং অপরজন ১৭ বছরের কিশোর তাঁর দলের নেতার হাতে খুন হলেন আন্দোলন করতে গিয়ে তার জন্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ন্যূনতম নিন্দাটুকু করলেন না কেন?