পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুক্রবার শহরে ফুলের বিভিন্ন বাজারে প্রতি পিস গোলাপের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। মানিকতলা থেকে শুরু করে গড়িয়াহাট—সর্বত্রই গোলাপের দাম ছিল আগুনছোঁয়া। এমনকী বেশ কিছু বাজারে ৩০ টাকা দরেও গোলাপ বিক্রি করা হয়েছে। আকাশ ঘোষ নামে এক ক্রেতার কথায়, ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে প্রতি বছরই গোলাপের চাহিদা বেশি থাকে। সেকারণেই দোকানিরা সেই সুযোগটা পুরোপুরি নিচ্ছে। আর তাতে বলি হতে হচ্ছে অসহায় যুগলদের।’ চাহিদার সুযোগ নিয়ে নির্মমভাবে ‘ঝোপ বুঝে কোপ’ মেরেছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, ইদানীং গোলাপের ফলন ভালো না হওয়ায় স্বাভাবিক নিয়মেই দাম ঊর্ধ্বমুখী। পাশাপাশি প্রতি বছরেই এই বিশেষ দিনে গোলাপের দাম বেশি থাকে। তবে এ বছরে তা মাত্রাতিরিক্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। নিউ আলিপুরের এক ফুল বিক্রেতা জানিয়েছেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন পাইকারি বাজারেও ফুলের দাম অত্যন্ত চড়া। জগন্নাথ ঘাট থেকে ফুল নিয়ে এসে এখানে বিক্রি করি, তাই দামও বেশি নিতে হয়।’
শুক্রবার গঙ্গা পাড়ে জগন্নাথ ঘাটের পাইকারি ফুল বাজারে প্রতি একশো পিস গোলাপের দাম ছিল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সাধারণ দিনে এই বাজারে গোলাপের দাম জোগানের নিরিখে ২০০-২৫০ টাকার (১০০ পিস) মধ্যে ঘোরাফেরা করে। এক পাইকারি ব্যবসায়ীর মতে, ‘এদিন বাজারের চাহিদা সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে যায়। চাষিরাও তাঁদের প্রয়োজন মতো ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে বেশি দাম হাঁকেন।’
তবে এসব সত্ত্বেও এদিন প্রিয়জনের মান-অভিমানের ঠেলা সামলাতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের হাতে গোলাপ ছিল ‘মাস্ট’।