কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আমরা সবাই নাগরিক। এই স্লোগানকে অস্ত্র করে গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য সফরের প্রাক্কালে লাগাতার ধর্নায় বসেছিল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার অনেক আগে থেকেই জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। সংসদে বিল পাশ হয়ে সিএএ তৈরির পর বিজেপি বিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র করেন মমতা। তিনি কলকাতা সহ রাজ্যের জেলায় জেলায় পদযাত্রা করেন। এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁর নির্দেশেই দলের সব শাখা সংগঠন ধর্নায় অংশ নিয়েছে। রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সিএএ বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। একদিকে বিধানসভায়, অন্যদিকে আমজনতার কাছে সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিভাজনের রাজনীতি বিরোধী আন্দোলন পৌঁছে দিতে তৎপর মমতা। তাই দলের ছাত্র শাখার পর মহিলা, শ্রমিক, তফসিলি জাতি-উপজাতি সেলের পর এবার উদ্বাস্তু সেলকেও ধর্নায় যোগ দিতে বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। উল্লেখ্য, এই আইন তৈরির পর থেকেই বিজেপি উদ্বাস্তুদের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজনের লাইন কার্যকর করতে জোর দিয়েছে। হিন্দু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নামে বিজেপি জোরদার প্রচার শুরু করেছে। সেই প্রচারের পাল্টা তৃণমূল নেত্রীর দাবি, সিএএ কার্যকর করে এনআরসি’র মাধ্যমে শুধু মুসলমান নয়, হিন্দুদের নাগরিকত্ব নিয়েও সংশয় তৈরি হবে। এই বিষয়ে তিনি অসমের দৃষ্টান্ত তুলে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। ঘটনাচক্রে অসমে এনআরসি’র তালিকা থেকে বাদ পড়া মানুষের সিংহভাগই হিন্দু। সেখানকার ডিটেনশন ক্যাম্পে সম্প্রতি যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদেরও অধিকাংশ হিন্দু। স্বভাবতই, সিএএ কার্যকর হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সমাজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে এবং বাংলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উদ্বাস্তুরা। সেই উদ্দেশ্যেই এবার ধর্নায় মুখ্যমন্ত্রী তফসিলি জাতি-উপজাতির সঙ্গে সহযোগী হিসেবে উদ্বাস্তু সেলকে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ওবিসি সেলের নেতা বিধায়ক দেবেশ মণ্ডলের নেতৃত্ব চলা এই ধর্নায় এদিন তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক যোগ দেন। নির্মল মণ্ডল, শীতল সর্দার, সাংসদ সুনীল মণ্ডল প্রমুখ এদিন ধর্নামঞ্চে ভাষণ দেন।