পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক শেখ আবু তাহের কামরুদ্দিন কলকাতা থেকে টেলিফোনে বলেন, ইউনিসেফের সহযোগিতায় রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ মালদহের ২০টি মাদ্রাসায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য হাতেকলমে বিজ্ঞান ও গণিত চর্চার ব্যবস্থা করেছিল। আমরা এই উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছি। প্রশিক্ষিত পড়ুয়াদের মধ্যে বিজ্ঞান ও গণিত চর্চার দিকে অতিরিক্ত আকর্ষণ আমরা লক্ষ্য করেছি। এমনকী তারা নিজেরা নিজস্ব মনন ও মেধা দিয়ে বিভিন্ন মডেল বানিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। পাইলট প্রজেক্টের এই সাফল্য আমাদের রাজ্যের অন্যান্য মাদ্রাসাগুলিতেও একই ধরনের প্রয়াস নিতে উৎসাহিত করেছে।
রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের প্রধান কর্তা বলেন, হুগলী জেলাতেও আমরা এই হাতেকলমে বিজ্ঞান ও গণিত চর্চার ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি। পড়ুয়াদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। রাজ্যের সমস্ত মাদ্রাসাতেই ধীরে ধীরে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। কারণ একবিংশ শতকের শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল প্রাকটিক্যাল ট্রেনিং বা হাতেকলমে চর্চা। আমরা এই বিষয়টিতে তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জুন মাসে রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ এবং ইউনিসেফ যৌথভাবে মালদহের ২০টি মাদ্রাসায় এই হাতেকলমে বিজ্ঞান ও অঙ্ক চর্চার ক্লাস শুরু করে। প্রতিটি মাদ্রাসা ধরে ধরে এক সপ্তাহ করে বিজ্ঞান ও অঙ্কের বিশেষ ক্লাস ও পরীক্ষা নিরীক্ষা হাতেকলমে করে দেখানো হয় ছাত্রছাত্রীদের। মাদ্রাসার অঙ্ক ও বিজ্ঞানের শিক্ষকদেরও বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
মাস ছয়েক পরে জানুয়ারি মাসের ১০ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত ওই প্রশিক্ষিত পড়ুয়াদের নিয়ে একটি বিজ্ঞান ও গণিত প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয় মালদহে। তাতে পড়ুয়াদের উৎসাহ ও নিজেদের হাতে তৈরি করা মডেল দেখে অবাক হয়ে যান উদ্যোক্তারা। এই প্রকল্পে সাফল্য এসেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই। তাই রাজ্যের বাকি মাদ্রাসাগুলিতেও এই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, মালদহের ৮০টি সহ সারা রাজ্যে সরকার অনুমোদিত ও পরিচালিত ৬১৪টি মাদ্রাসা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ কার্যত একই সিলেবাস অনুসরণ করে থাকে। ভাষা, বিজ্ঞান ও ইতিহাস ও ভূগোলের ক্ষেত্রে দুই পর্ষদই প্রায় একই বই অনুমোদন করে থাকে। মাদ্রাসাগুলির সঙ্গে বিদ্যালয়গুলির তফাৎ শুধু এই যে মাদ্রাসাগুলিতে অতিরিক্ত ভাষা হিসাবে আরবি পড়ানো হয়ে থাকে, ঠিক যেমন বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সংস্কৃত পড়ানো হয়।