কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আইসিএআরের মৎস্য বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ডঃ জে কে জেনা বলেন, রঙিন মাছ চাষকে জনপ্রিয় করতে রাজ্যগুলির উচিত ক্লাস্টার ব্যবস্থা তৈরি করা। রঙিন মাছ চাষে পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। দেশে যে পরিমাণ রঙিণ মাছের চাষ হয়, তার ৯০ শতাংশই এ’রাজ্যে হয়। তাই সেটা দেখে অন্য রাজ্যের শেখা উচিত। একইসঙ্গে এই রাজ্যের উচির ক্লাস্টার ব্যবস্থার মাধ্যমে রঙিন মাছ চাষকে আরও শক্তিশালী করে তোলা, যাতে এই কাজের দ্বারা আরও বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়।
এবিষয়ে সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ফিশারিজ এডুকেশনের (সিফে) প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ বি কে মহাপাত্র বলেন, কলকাতার কাছেই হাওড়ার দাশনগর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলা, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙাকে কেন্দ্র করে প্রায় ২০ হাজার পরিবার এখন এই পেশার সঙ্গে জড়িত। ক্লাস্টার তৈরি করে যদি সরকার এদের আরও সাহায্য করে, তাহলে আরও বেশি সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে বলেই তিনিও আশাবাদী।
এবিষয়ে পঞ্চায়েত দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এম ভি রাও এবং মৎস্য সচিব এস কিশোর বলেন, কলকাতার আশেপাশে যেখানে রঙিন মাছের চাষ হয়, সেই জায়গাগুলিতে কয়েকটি ক্লাস্টার তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে জায়গাগুলি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এখন যে সমস্ত জায়গায় রঙিন মাছের চাষ বেশি হচ্ছে, তার আশপাশ কয়েকই এই ক্লাস্টার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে এম ভি রাও জানান। একইসঙ্গে রঙিন মাছ বিক্রির বাজারকে আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, সেবিষয়েও বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মৎস্য দপ্তরের প্রাক্তন সচিব তরুণ শ্রীধর মনে করেন, আগামীদিনে রঙিন মাছ চাষ দেশের অর্থনীতির অনেক পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারবে। তাই কেন্দ্র-রাজ্য একযোগে কাজ করার আবেদন জানান তিনি।