বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ব্যাঙ্কের কর্মী ও অফিসারদের মূল ন’টি সংগঠন একযোগে ওই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। মোট ১২ দফা দাবিতে ডাকা হয়েছে ধর্মঘট, যার অন্যতম ইস্যু ব্যাঙ্ক কর্মী ও অফিসারদের বেতন বৃদ্ধি। যদি এরপরও ধর্মঘটীদের দাবি না মানা হয়, তাহলে ১১ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ ফের ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া হয়েছে। দাবিদাওয়ার বিষয়ে আন্দোলনের জন্য কর্মী ও অফিসারদের সংগঠনগুলি একত্রিত হয়ে গঠিত হয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস। ব্যাঙ্কগুলির সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনস তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় এই ধর্মঘট ডাকার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। ধর্মঘটীদের অন্যতম অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, আমরা যে ১২ দফা দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছি, তার মধ্যে অন্যতম আমাদের বেতন সংস্কার। নিয়ম হল, পাঁচ বছর অন্তত ব্যাঙ্ক কর্মী ও অফিসারদের বেতন কাঠামোর বদল আনা হবে। সেই হিসেব মতো আমাদের বেতন চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে ২০১৭ সালের অক্টোবরে। অর্থাৎ ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে নতুন হারে বেতন চালুর কথা ছিল, যা হয়নি। আমরা চাই ‘পে স্লিপ কম্পোনেন্ট’-এর উপর ২০ শতাংশ হারে বেতন বাড়ানো হোক।
কর্মী ও অফিসারদের দাবিদাওয়াগুলি মানার ব্যাপারে দু’পক্ষকে নিয়ে সোমবার আলোচনা হয় কেন্দ্রীয় চিফ লেবার কমিশনারের অফিসে। সেখানে ধর্মঘটীরা এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ধর্মঘটে অংশ নিতে চলা অন্যতম কর্মী সংগঠন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজেন নগর বলেন, ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। ফলে আমরাও আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরছি না। সাধারণ গ্রাহক অসুবিধায় পড়বেন, এটি মেনে নিয়েও আমরা ধর্মঘটের পথেই যাচ্ছি।