রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এনআরসি’র আতঙ্কেই রেশন কার্ড তৈরি, আধার কার্ড তৈরির জন্য যেমন হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে, তেমনই ভোটার তালিকায় নাম তোলা ও সংশোধনের জন্য আবেদনের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গিয়েছে। ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করার জন্য সব রকম প্রয়াস চালানো হবে বলে শনিবার জাতীয় ভোটার দিবসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। বার বার যাচাই না করে কারও নাম বাদ দেওয়া হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিন পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ভোটার দিবস পালন করে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও ছিলেন নির্বাচন কমিশনের রাজ্যের আইকন জিজা ঘোষ। ভোটার তালিকায় ভালো কাজ, বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য ভোটদানের সুব্যবস্থা করা, ভোটারদের নানা প্রশিক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ে পুরস্কৃত করা হল পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন এবং পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলার ইলেক্টোরাল লিটারেসি ক্লাবকে এদিন ভালো কাজের জন্য সম্মানিত করা হয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব সেই পুরস্কার তুলে দেন।
স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ১৯৫০ সালের আগে মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ ভোট দান করতেন। যাঁরা উচ্চবর্ণ, উচ্চশিক্ষিত তাঁরাই একমাত্র ভোট দিতে পারতেন। ভারতীয় সংবিধান তৈরি হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। এখন জাতপাত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ১৮ বছর হলেই সকলে ভোট দিতে পারেন। ১৯৫২ সালে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যসচিব সুকুমার সেনকে দেশের ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু তাঁকে ওই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সুকুমার সেন দেশের প্রথম নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন। এতটাই সুষ্ঠুভাবে সেকাজ তিনি করেছিলেন যে, তাঁকে সুদানে নির্বাচন পরিচালনা করতেও পাঠানো হয়। সুদানে তাঁর নামে একটি রাস্তার নামকরণও হয়। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে এই ভোট প্রক্রিয়া অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হয়।