কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
মন্ত্রী বলেন, এদিন যখন সবং আসছিলাম। তখন রাস্তায় একটা জায়গায় চা খেতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখানে একটি মেয়ে ও ছেলে এগিয়ে আসে আমাকে কিছু বলার জন্য। আলাপ চারিতায় জানতে পারলাম, মেয়েটি এমএ পাশ। পিএসসি পরীক্ষা দিতে এসেছে। মেয়েটি বলল, অনেক জায়গায় পরীক্ষা দিচ্ছি, কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। তিনি বলেন, মেয়েটির মা বৃদ্ধা। দুই ভাই সোনার কাজ করতে মহারাষ্ট্র চলে গিয়েছে। স্বামী সামান্য কিছু রোজগার করে। তাই দিয়ে কোনও রকমে সংসার চলে। দেখে আমার খুব খারাপ লাগল। আমি মেয়েটিকে আমার ওএসের নম্বর দিয়ে বলেছি, আজ, রবিবার থেকে তুমি ঘাটাল শিক্ষা দপ্তরে অস্থায়ী এডুকেশনাল সুপার ভাইজারের কাজ করবে।
পার্থবাবু বলেন, আগের সরকার পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাডার তৈরি করে গিয়েছে। সকালে স্কুল কর, আর বিকেলে পার্টি কর। আমাদের সরকার বলছে, শুধু শিক্ষাটাই দেখ। আগের মতো ঝোলা কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়ার ট্র্যাডিশনটা এখনও চলছে। এটা বদল আনতে হবে। অভিভাবকরাও আমাদের কাছে আসেন। অনেক কথা বলেন। পড়াশোনার দিকটাও দেখতে বলেন। এদিন তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা দিতে একটু দেরি হলে দুঃখ পান। তেমনই ঠিকমতো ক্লাস না হলে অভিভাবক, ছাত্র ছাত্রীদেরও দুঃখ হয়। এদিকটাও আপনাদের দেখতে হবে। অতিথি শিক্ষকও দাও, শিক্ষকও দাও। এটা থামবে কোথায়। এই দু’টোর মধ্যে সমন্বয় দরকার।
পার্থবাবু বলেন, আমাদের লক্ষ্য সবাইকে শিক্ষার ছায়ায় আনতে হবে। মিড ডে মিলে ডিম দেওয়ার কথা। কিন্তু, সেই ডিম বাড়ি চলে যাচ্ছে। এটা দেখতে হবে। ছাত্র ছাত্রীরা পায় কি না সেটা দেখতে হবে। তিনি বলেন, শুধু বলা হচ্ছে শিক্ষক দাও। কিন্তু, প্রাথমিকে চারজন ছাত্রের জন্য দশজন শিক্ষক কেন। সেটাও তো দেখতে হবে।
তিনি এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষের নাম না করে বলেন, ঘোষ নামাবলি প্রতিদিন চলছে। কিছু একটা বলতে হবে। এবার সরস্বতী পুজোর সময় একটাই পার্থনা করব ‘ওদের জ্ঞান দাও, বুদ্ধি দাও। মানুষ যাতে এক সঙ্গে থাকতে পারে। ’ এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, রাজ্যসভার সদস্য মানস ভুঁইয়া, বিধায়ক গীতারানি ভুঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।