কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
২০১৯ সালের জুলাই মাসে বরপেটা জেলার পুলিসের কাছে খবর আসে, জেএমবি জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে এখানে। তার মধ্যে রয়েছে খাগড়াগড়কাণ্ডে অভিযুক্তরা। এখানে বসে চলছে প্রশিক্ষণ। বড়সড় নাশকতা ঘটানোই তাদের লক্ষ্য। এই তথ্যের ভিত্তিতে অসম পুলিস জুলাই মাসে বরপেটা জেলায় হাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় জেহাদি পুস্তিকা, লিফলেট ও প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত সামগ্রী। এমনকী আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকও উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া নথি ঘেঁটে জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যোগ মেলে। তার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় জেএমবি জঙ্গি হাফিজুরকে। তাকে জেরা করে আরও চার জেএমবি জঙ্গির খোঁজ মেলে। ডেরায় হানা দিয়ে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরাজ্য সহ বাংলাদেশের জেএমবির শীর্ষ মাথাদের সঙ্গে ধৃতদের যোগ থাকায় তদন্তভার যায় এনআইএর হাতে।
চার্জশিটে এনআইএ জানিয়েছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত শাহানুর আলমের সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ হয় ২০১৪ সালে। সে তাদের জেএমবিতে নিয়োগ করে। তার হাত ধরেই এই পাঁচ জেহাদি এরাজ্যে পা রাখে। তাদের নিয়ে আসা হয় বর্ধমানের শিমুলিয়া মাদ্রাসায়। সেখানে ইউসুফ ও কওসর তাদের আগ্নেয়াস্ত্র চালানো এবং বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর এখানে বিস্ফোরক তৈরির কাজ শুরু করে। বিভিন্ন ধরনের গ্রেনেড তৈরি করে তারা বাংলাদেশে পাঠাত। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরই তারা পালিয়ে যায় বাংলাদেশে। সেখানে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর অসমে চলে আসে। জেএমবির একের পর এক সদস্য ধরা পড়ে যাওয়ায় তারা সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজ শুরু করে। অসমে থাকা রোহিঙ্গাদেরই টার্গেট করে। এনআইএর তরফে চার্জশিটে বলা হয়েছে, তারা একাধিক স্লিপার সেলও তৈরি করে। যাতে খাগড়াগড়কাণ্ডে পলাতক অভিযুক্তরাও ছিল। সংগঠনকে গুছিয়ে নেওয়ার পর ধৃত পাঁচ জঙ্গি এরাজ্যে যাতায়াত শুরু করে। এখান থেকে জেহাদি নিয়োগও শুরু করে। পাশাপাশি অসমের আলফা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগাযোগ গড়ে তোলে। তাদের কাছ থেকে উন্নত ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেয়। অসম ও বাংলার জেএমবি ইউনিট মিলিয়ে দিয়ে বড় একটা ইউনিট তৈরি করছিল এই পাঁচ জঙ্গি। নিজেদের অবাধ যাতায়াতের জন্য ফ্রি করিডরও তৈরির চেষ্টায় ছিল তারা। বড়সড় নাশকতা ঘটানোর জন্যই তারা এই সমস্ত পরিকল্পনা করেছিল বলে এনআইএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।