গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দলের জাতীয় কার্যকরী সভাপতি থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর নাড্ডার সামনে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নির্বাচন হতে চলেছে পুরভোট। এই পরিস্থিতিতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বকে তাঁর এহেন বক্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। দিলীপবাবু বলেন, ‘বিজেপিতে সবসময় সংগঠনের মাধ্যমেই কাজ হয়। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনও বিষয় হবে না। যিনি জিততে পারবেন, এমন যোগ্য ব্যক্তিকেই পুরভোটে প্রার্থী করা হবে। এবং এই প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পার্টির সিদ্ধান্তই শেষ কথা।’ অতীতে বিভিন্ন সময় রাজ্যের একাধিক নির্বাচনে দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এমনকী কলকাতায় বিজেপির সদর দপ্তর মুরলীধর সেন লেনে এই ইস্যুতে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এহেন কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, পরিবর্তে রাজ্য তথা জাতীয়স্তরে বিজেপির ভাবমূর্তি যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতেই উদ্যোগী হয়েছেন জে পি নাড্ডা।
দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মূলত পুরসভার ওয়ার্ড এবং সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে রিপোর্ট আসার পরই প্রার্থী বাছাই নিয়ে আলোচনা শুরু করবে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বুথ কমিটিগুলি এই ইস্যুতে রিপোর্ট দেবে। একইভাবে রিপোর্ট পাঠাবেন দলের জেলার নেতারাও। তা খতিয়ে দেখবেন রাজ্যের নেতারা। এলাকায় কোন নেতার ভাবমূর্তি স্বচ্ছ, কে পার্টির কাজে কত বেশি সময় দেন, প্রার্থী বাছাইয়ের আগে বিচার করা হবে সবটাই। চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়ার আগে এলাকার নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে, যাতে প্রার্থী নিয়ে কোনও অসন্তোষ না থাকে। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি তথা বাঁকুড়ার এমপি ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেভাবে বলবেন, আমরা সেভাবেই কাজ করব। পুরভোটের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়েছে। স্থানীয় ইস্যুর পাশাপাশিই প্রচারে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে অন্যতম এজেন্ডা হিসেবে তুলে ধরা হবে।’