কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
রাজ্য পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, বর্তমানে এ রাজ্য থেকে একাধিক রুটেই বাংলাদেশে বাস যাচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে, কলকাতা-খুলনা, কলকাতা-ঢাকা এবং কলকাতা-আগরতলা ভায়া ঢাকা রুট। এগুলি যাত্রী মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়। কলকাতা থেকে আগরতলা ও ঢাকামুখী বাসগুলি ছাড়ে প্রতি সোম, বুধ ও শুক্রবার।
দপ্তর সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি-কাঠমাণ্ডু রুটে বাস পরিষেবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হতে পারে। এই রুটে বাস ছাড়বে শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড থেকে। সেখান থেকে পানিট্যাঙ্কি, কাঁকরভিটা হয়ে বাস যাবে কাঠমাণ্ডু। এই রুটে পরিষেবার আয়োজনে রয়েছে সরকারি পরিবহণ নিগম এনবিএসটিসি। এই নিগমের এক কর্তা বলেন, ৬৩০ কিলোমিটারের এই রুটে ভলভো বাস চলবে। ভাড়া ঠিক হয়েছে ১৩৯০ টাকা। তার সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে জিএসটি যুক্ত থাকবে। তার জন্য দু’টি ভলভো বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আপাতত ঠিক রয়েছে, বাসগুলি চলবে সোম, বুধ এবং শুক্রবার। ফিরতি পথে বাস চলবে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার।
বাকি প্রস্তাবিত রুটগুলির অবস্থা কী? দপ্তর সূত্রের খবর, গত ডিসেম্বর মাসে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি হয়ে দার্জিলিং এবং গ্যাংটক রুট দু’টিতে পরীক্ষামূলকভাবে দু’টি বাস চালানো হয়েছিল। তাতে অফিসার সহ মোট ৩৫জন যাত্রী ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের পরিবহণ-সেতু মন্ত্রকের যুগ্মসচিব মহম্মদ সফিকুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত মাসে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশে বাস চালানো হয়েছিল। সেই বাসে গিয়ে অনেকে পাহাড় ও ডুয়ার্সে ভ্রমণ করেছিলেন। আগামী দিনে এইসব রুটে নিয়মিত বাস চলাচল শুরু হবে। রবিবার ছাড়া সপ্তাহে প্রতিদিনই বাস চালানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। এই রুটে বাস যাবে ঢাকা থেকে সেদেশের পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধ্যা অতিক্রম করে ভারতের ফুলবাড়ি সীমান্ত হয়ে শিলিগুড়ি।
বিষয়টি নিয়ে এ রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ডিসেম্বরে ট্রয়াল রান হয়েছে। বাংলাদেশ নয়া রুটে বাস চালালে চুক্তি অনুযায়ী এদিক থেকেও ঢাকায় বাস যাবে। তাতে এ দেশের বহু মানুষের সুবিধা হবে। ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি হয়ে কাঠমাণ্ডু পর্যন্ত রুটেও ট্রায়াল রান হয়েছে। এই রুটে বাসের ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। সেই মতো ভারত তার অনুমোদন দেয়। ট্রায়ালে এ দেশের অফিসাররাও অংশ নিয়েছিলেন। এই রুটটি চালু হলে তিন দেশের বাসিন্দাদেরই সুবিধা হবে।