পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজভবন সূত্রের খবর, আগামী ২৮ তারিখ মঙ্গলবার বেলা ১টায় নজরুল মঞ্চের ওই অনুষ্ঠানে আচার্য হিসেবে হাজির থাকতে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন ধনকার। ওইদিন সমাবর্তন মঞ্চে গিয়েই তিনি অভিজিৎবাবুর ডিলিট শংসাপত্রে সই করবেন বলে ঠিক করেছেন। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মতো সেদিনও শেষমেশ তাঁকে কোনও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় রাজ্যপালের সচিবালয়। পাশাপাশি সেদিন সমাবর্তন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইছেন, তাঁর হাত দিয়েই অভিজিৎবাবুকে ডিলিট দিতে। সেই বিষয়টি রাজ্যপাল তথা আচার্য হিসেবে মেনে নেবেন কি না ধনকার, সেটাও লক্ষ্য করার বিষয়।
রাজভবনে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছনোর খবর সরকারিভাবে কোনও পক্ষই জানাতে চায়নি। রাজ্যপালের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সতীশ তিওয়ারির অফিসে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নামে এই চিঠিটি পৌঁছয় বলেই খবর। সেখান থেকে তা জানতে পারেন ধনকার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নয়া বিধি মোতাবেক আমন্ত্রণ করার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের। দপ্তর কী করেছে, তা তাঁরা জানেন না। দপ্তরের অফিসাররা বলছেন, আচার্য হিসেবে সমাবর্তনে রাজ্যপালের যোগদানের ইচ্ছার কথা রাজভবন থেকে লিখিতভাবেই জানানো হয়েছে দিন কয়েক আগে।
এদিকে, অভিজিৎবাবুকে ডিলিট দেওয়ার ব্যাপারে মাসখানেক আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিলেও তা নিয়ে রাজ্যপাল কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। বরং তাঁকে এড়িয়ে সেনেট বৈঠক করা নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। এদিন অবশ্য তাঁর নামে জারি করা বিবৃতিতে তিনি অভিজিৎবাবুর কৃতিত্ব এবং তাঁকে ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্তের ভূয়সি প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, যোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই অভিজিৎবাবুকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গোটা রাজ্য ও দেশের কাছে একটি গৌরবের বিষয় হয়ে উঠেছে। আচার্য হিসেবে আমি এই সিদ্ধান্তের শরিক হয়ে নিজেকে কৃতজ্ঞ মনে করছি। এমন একজন মহান শিক্ষাবিদের সাফল্যের শিখরে ওঠার জন্য আমি অভিজিৎবাবুকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানাই।