পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি), জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ (এনপিআর) এবং সিএএ’র বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতাই প্রথম রাস্তায় নেমেছেন। কলকাতা সহ দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে একাধিক পদযাত্রা করে বিজেপি বিরোধী প্রচারে ঝড় তুলেছেন তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এনআরসি বা সিএএ বিরোধী আন্দোলনের ভরকেন্দ্র শহর ও শহর লাগোয়া অঞ্চল। সেই আন্দোলনের অভিমুখ এবার আরও নিবিড় করার লক্ষ্য নিয়েছেন মমতা। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ সফর সেরেই মুখ্যমন্ত্রী সটান চলে যান তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে। সেখানে রাজ্যের সব জেলার দলীয় সভাপতি ও পর্যবেক্ষকদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। মমতা বলেন, মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেতে হবে। প্রতিটি পরিবারের কাছে গিয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপির নীতি কীভাবে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে, তা বুঝিয়ে বলতে হবে।
সেই উদ্দেশ্যেই আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে একটানা কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সব ব্লক ও ওয়ার্ড স্তরে দুপুর ২টো থেকে ৩টে পর্যন্ত মানববন্ধন করা হবে। ৬ ফেব্রুয়ারি ওইসব এলাকায় মৌন মিছিল হবে। এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর বিরোধী পোস্টার গায়ে নিয়ে মিছিল করবে তৃণমূল। ৭ ফেব্রুয়ারি বুথ স্তরে পথসভা করতে হবে। আগামী ৮-৯ ফেব্রুয়ারি তফসিলি অধ্যুষিত এলাকায় সব স্তরের জনপ্রতিনিধিকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা পৌঁছে দিতে হবে, জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির মোকাবিলায় নেত্রী যে লড়াই চালাচ্ছেন, সেই আন্দোলনের বার্তা প্রতিটি পরিবারে পৌঁছে দিতে হবে। ১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি বুথ কর্মীদের নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা জনসংযোগের কাজ করবেন।
জেলা থেকে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত সংগঠনকে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচিতে জড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে তিনটি জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলনেত্রী। প্রথমটি বনগাঁ মহকুমায়, দ্বিতীয়টি কল্যাণীতে, চাকদহ ও গয়েশপুরের মধ্যে কোনও এক জায়গায় এবং তৃতীয়টি রানাঘাট মহকুমা এলাকায় হবে। পার্থবাবু বলেন, জনসভার স্থান ও দিনক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত করে জানাবেন। একদিকে, ধর্মের নামে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে বিভাজনের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। অন্যদিকে, কলকাতা সহ রাজ্যের নানা জায়গায় তাঁদের কর্মীদের উপর হিংস্র আক্রমণ চালাচ্ছে কেন্দ্রের শাসকদলের কর্মীরা। দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্ক থেকে বেহালার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি। ফাইল চিত্র