বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতি বছর এই সময়ে পাহাড়ে আসেন মমতা। অংশ নেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ম্যালে আয়োজিত নেতাজি বন্দনায়। মমতার কথায়, স্বাধীনতা আন্দোলন পর্বে এই পাহাড়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন নেতাজি। কার্শিয়াংয়ের গিদ্দা পাহাড়ে বেশ কিছুদিন কাটিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আজাদ হিন্দ বাহিনীতেও নাম লিখিয়েছিলেন বহু গোর্খা সৈনিক। নেতাজি আর তাঁর একদা সহচর সেই বীর গোর্খাদের একযোগে সম্মান জানাতেই এখানে আসা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজি দেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর আজ স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরেও ধর্ম, বিভাজন আর বিদ্বেষের জন্য উল্টে মানুষের রক্ত শুষে নেওয়া হচ্ছে। হিন্দু ধর্ম সনাতন, বিরাট তার ব্যাপ্তি। এখন সেই হিন্দুত্বের নামে হিন্দু ধর্মকে ভাগ করা হচ্ছে। এভাবে দেশের নেতা হওয়া যায়?
মমতা বলেন, নেতাজির জন্মদিনে রাজ্যে সরকারি ছুটি। বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও এই দেশপ্রেমিকের জন্মদিনটিকে ‘জাতীয় ছুটি’ হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, আমরা এই দেশনায়কের জন্মদিনটি জানি। কিন্তু তাঁর মৃত্যুদিন কবে, কী ভাবে তাঁর অন্তর্ধান হল, সে রহস্যের কিনারা কেন হচ্ছে না? স্বাধীনতার এত বছর পরেও এটা আমাদের কাছে লজ্জার। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় এসে কিছু লোকজনকে কটা ফাইল নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখলাম। আর কিছু নয়। নেত্রী এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, আক্রমণ মাত্রা ছাড়ালেও পিছু হটবেন না তিনি। দৃপ্তকণ্ঠে তিনি ঘোষণা করেছেন, আজ এই পবিত্র দিনে শপথ নিতে চাই, নেতাজি, গান্ধীজি, বাবাসাহেব, মৌলনা আবুল কালাম আজাদ, রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের দেখানো পথেই চলব। যতই ঝড়-তুফান আসুক না কেন, তাকে অতিক্রম করে এগব সেই পথ ধরেই।