গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তার জেরে চলতি মরশুমে একাধিকবার বৃষ্টির কবলে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা যেখানে উত্তর ভারত হয়ে ক্রমশ এগিয়ে এসে যখন উত্তর-পূর্ব ভারতে পৌঁছেছে, তখন উত্তরবঙ্গে, বিশেষত পাহাড়ি জেলাগুলিতে বৃষ্টি হয়েছে ভালোই। দিন দু’য়েক কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে মোটামুটি ভালো ঠান্ডা থাকার পর সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কবলেই বৃহস্পতিবার পড়ে বাংলা।
এদিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়। একদিনের তফাতে তা বেড়ে যায় প্রায় আড়াই ডিগ্রি। সকালের দিকে আকাশের মুখ ভার করে। হালকা বৃষ্টিও হয় শহরে।বৃহস্পতিবার বিকেলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে। শনি ও রবিবার মেঘমুক্ত আকাশ থাকবে এবং তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে। তবে এক ধাক্কায় পারদ নামবে না বলেই জানিয়েছেন সঞ্জীববাবু।
তিনি বলেন, ধাপে ধাপে তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা নামবে দক্ষিণবঙ্গে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে আজ শুক্রবার তাপমাত্রা যেমন একটু নামবে, তেমনই দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। সঞ্জীববাবু বলেন, ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা দক্ষিবঙ্গে বৃষ্টির আশা করছি। এর কারণ মূলত পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হতে চলেছে। তা তৈরি হলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস উঠে আসবে। অন্যদিকে, উপর থেকে আসা পশ্চিমা বায়ুর সঙ্গে মিলেমিশে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্য রাতের তাপমাত্রা আবারও একটু বাড়বে বলে জানা গিয়েছে।