কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এর আওতায় আসতে পারেন রাজ্যের প্রায় ২০ হাজার প্রশিক্ষিত টেকনোলজিস্ট এবং ডায়েটেটিভ, নিউট্রিশনিস্ট, অক্যুপেশনাল থেরাপিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট, স্পিচ থেরাপিস্ট, অডিওমেট্রিস্ট এবং অন্যরা। কাউন্সিল এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২০১৫ সালের আইন অনুযায়ী যাঁরা এর আওতায় আসছেন, তাঁদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইন আবেদন করতে বলেছে। এই বিজ্ঞপ্তি দেখে স্বভাবতই খুশির হাওয়া বইছে টেকনোলজিস্ট মহলে। তাদের বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছিল। আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবায় এক্স রে, ইসিজি, এমআরই, সিটি স্ক্যান, ডায়ালিসিস বা ক্যাথল্যাব— যত ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে, সবই এখন টেকনোলজিস্ট নির্ভর। অথচ, তাঁদেরকেই সম্মান দেবে না সরকার! কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের ফলে ধাপে ধাপে প্রায় ২৫ ধরনের পেশাজীবী রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে কাজ করবেন। এ বিষয়ে তৃণমূলপন্থী মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোগ্রেসিভ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক সমিত মণ্ডল বলেন, সেই ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আমাদের কাউন্সিল সংক্রান্ত আইনটি বিধানসভায় পাশ হয়। তারপর থেকে অপেক্ষায় ছিলাম প্রত্যেকে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। সোসাইটি অব বায়োমডিক্যাল ল্যাবরেটরি সায়েন্সের সহ সম্পাদক বিকাশ মণ্ডল বলেন, প্রায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচার মতো অবস্থা। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। মুখ্যমন্ত্রী তা পূরণ করলেন। প্রচুর ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
যদিও এই বিজ্ঞপ্তি বেরনোর পর থেকেই কয়েকটি বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের একাংশের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি জায়গা থেকে স্বীকৃত পাঠ্যক্রম শেষ করে ডিগ্রি পাওয়া মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা নাকি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন পাবেন না।
এই সমস্ত জায়গা থেকে পাশ করা বহু ছাত্রছাত্রী বর্তমানে সরকারি চাকরিও করছেন। তাঁদেরকেও কাউন্সিল হয়ত মান্যতা দেবে না। এমনই চক্রান্ত চলছে তলায় তলায়। গোটা বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যালায়েড মেডিক্যাল অ্যান্ড প্যারামেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডাঃ আশুতোষ ঘোষ বলেন, কাদের কীভাবে, কোন আইন বলে মান্যতা দেওয়া হবে, তা সুস্পষ্টভাবে ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। আমরা ধাপে ধাপে, সবাইকেই কাউন্সিলের আওতায় নিয়ে আসব।