ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
কেন এই তৎপরতা? রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়ার আসল উদ্দেশ্য দু’টি। প্রথমত, গাড়িগুলিকে আইনের পরিধিতে আনা। দ্বিতীয়ত, যাত্রী নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা। তাই যানবাহনের মালিকরা যাতে সিএফ করাতে আগ্রহী হন, তার জন্য বিশেষ স্কিম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে গাড়িগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া যাবে। তৃতীয়ত, প্রধান উদ্দেশ্য না হলেও, পরোক্ষে এই পদক্ষেপে রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।
দপ্তরের এক কর্তা বলেন, রোড ট্যাক্স না মেটানো মানে সেই গাড়িটি রাস্তায় চলছে বেআইনিভাবে। কাজেই সে ক্ষেত্রে যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে বিমার ক্ষতিপূরণও মিলবে না। তাই রোড ট্যাক্স সবসময় ‘আপডেট’ রাখা দরকার। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিএফও। মালিকরা বাণিজ্যিক গাড়ির বকেয়া সিএফ-এর জরিমানা বাবদ অতিরিক্ত ফি মেটাতে পারেন রাজ্যের স্কিম অনুযায়ী। তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এককালীন মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকাতেই জরিমানার অতিরিক্ত বকেয়া ফি মিটিয়ে দেওয়া যাবে। নোটিস পাওয়ার পরও যেসব মালিক জানুয়ারির মধ্যে রোড ট্যাক্স ও সিএফের বকেয়া মেটাবেন না, তাঁদের যানবাহনগুলি ধরার জন্য রাস্তায় নেমে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা।
কী বলছেন শহরের বাস-ট্যাক্সির মালিক সংগঠনগুলির নেতারা? তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, জরিমানা সহ সিএফের অতিরিক্ত ফি মেটাতে রাজ্য সরকার একটি স্কিম চালু করেছে। কিন্তু অনেকেরই রোড ট্যাক্স বকেয়া পড়ে গিয়েছে। রোড ট্যাক্স না মেটালে সিএফের বকেয়া মেটানো যাবে না। তাই বকেয়া রোড ট্যাক্স মেটাতেও বিশেষ স্কিম ঘোষণা করুক সরকার। তাতে রাজ্যের উদ্দেশ্য অনেকটাই পূরণ হবে। মালিকদেরও আর্থিক বোঝাও লাঘব হবে।