কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্তদপ্তরের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বিভিন্ন কাজের টেন্ডার মূল্য নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) ঠিক মতো হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরই পূর্তদপ্তরের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা একটি ডিপিআরের মডেল তৈরি করেন। সেই মডেল বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে মানা হবে। তবে রাস্তা বা ব্রিজ করার ক্ষেত্রে ডিপিআর আলাদাভাবে তৈরি হবে। এরপরেই পূর্তদপ্তরের অভ্যন্তরে বিভাগীয় পুনর্বিন্যাস করা হয়। আগে তিনটি জোন ছিল, সেই সংখ্যা বাড়িয়ে পাঁচটি করা হয়। এছাড়াও ব্রিজ মনিটরিংয়ের জন্য আলাদা সেল তৈরি করা হয়েছে। বিভাগীয় পুনর্বিন্যাস নিয়ে দপ্তরের একটি সার্কুলারও বের করা হয়।
এরপরে গত ১০ জানুয়ারি নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের সব জোনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে ডাকেন দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব নবীন প্রকাশ। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও ছিলেন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ তাপস মুখোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে আগামী দিনে কীভাবে কাজ হবে, তার গাইডলাইন ঠিক করে দেন নবীন প্রকাশ। তিনি বলেন, দপ্তরের খরচ কমাতে হবে। টেন্ডারের বরাত যদি ১০০ টাকা হয়, তাহলে সেই টাকার মধ্যেই খরচ করতে হবে। দ্বিতীয় বার টেন্ডার করে মূল্য বাড়ানো চলবে না। নতুন করে রাস্তা করার চেয়ে বেশি জরুরি পুরানো রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ। সেগুলিও করতে হবে।
সেই বৈঠকে রোড সেফটির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বলা হয়েছে, পথ নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য যেখানে ক্র্যাশ ব্যারিয়ার লাগানো দরকার, তা লাগাতে হবে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ সাইনেজ লাগাতে হবে। এই কর্মসূচির জন্য ইতিমধ্যে রাজ্যে দুর্ঘটনা অনেক কমে গিয়েছে বলে দিল্লির বৈঠকে উল্লেখ করা হয়। এর জন্য রাজ্য সরকারের প্রশংসাও করা হয়। দুর্ঘটনা আরও কমানোর জন্য পথ নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর জন্য রাস্তায় বাঁকের সংখ্যা কমানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যে কোনও কাজ করতে হবে কম খরচে। নতুন কোনও প্রকল্প এখনই নেওয়া হবে না বলায় ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে রীতিমতো গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেক ইঞ্জিনিয়ারের বক্তব্য, পূর্ত দপ্তরের কাজ বিল্ডিং, রাস্তা, ব্রিজ করা। যদি নতুন কোনও প্রকল্প না নেওয়া হয়। তাহলে দপ্তরের কাজ কী হবে?