কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
কীভাবে চলছে এই টুর্নামেন্ট? যাঁরা এই মোবাইল গেমে আসক্ত, সেসব খেলোয়াড়দের কথায়, পাবজি’র সৈনিকরা সর্বাধিক ২৫টা স্কোয়াড গড়ে খেলতে নামে। এক একটি স্কোয়াডে চারজন করে থাকতে পারে। চারখানা ম্যাপ থাকে খেলার জন্য। যাঁরা খেলেন, তাঁরা নিজেদের রণকৌশল ঠিক করতে ভয়েস চ্যাট করেন। ম্যাপ শেষ করতে লাগে বড়জোর ৩০ মিনিট। যে দল জেতে, তারা পুরস্কার পায়।
কারা আয়োজন করেন এই গেমের? অংশই বা নেন কারা? পাবজিতে যাঁরা বুঁদ, তাঁদের কথায়, পাড়ায় আগে যেভাবে ফুটবল বা ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হতো, সেভাবেই পাবজি ক্লাব গড়ে উঠছে ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। মাথাপিছু গড়ে ১৫০-২০০ টাকা দিয়ে সেই খেলায় নাম লেখাতে হয়। যেহেতু এটি ভার্চুয়াল গেম, তাই ঘরে বসে বা বাইরে আসর সাজিয়েও প্রতিযোগিতা করা যায়। অংশ নিতে হলে অনলাইন বা ই-ওয়ালেটে জমা করতে হয় টাকা। কোন কোন খেলোয়াড় পাবজিতে দক্ষ, সেই খবরও রাখেন অংশগ্রহণকারীরা। ফলে তাঁদের দলে নিতে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। দক্ষ প্লেয়ারকে ভাড়া নিতে ভালো দরও দেওয়া হয়, বলছেন পাবজি খেলোয়াড়রা। পুরস্কার হিসেবে জয়ী দল সাধারণত পায় পাঁচ থেকে কুড়ি হাজার টাকা। রীতিমতো স্টেজ সাজিয়ে মাইক বাজিয়ে হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এই টুর্নামেন্টকে জমকালো করতে লাখ টাকার স্পনসরশিপেরও রমরমা বাড়ছে।
তবে এনিয়ে চিন্তিত এই প্রজন্মের অভিভাবকরা। তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, শুধু পাবজি খেলা নয়, এর জন্য পড়াশোনা ও মনঃসংযোগ—সবেতেই ব্যাঘাত ঘটছে। অনেকেই স্কুল বা কলেজ না গিয়ে এতেই মেতে থাকছে। স্কুল পড়ুয়া পাবজি খেলোয়াড়রা এত বেশি টাকার সন্ধান পাচ্ছে, তাতে তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। পরিস্থিতি যেদিকে এগচ্ছে, তাতে এই সঙ্কট কাটানোর কিনারা পাচ্ছেন না অনেক অভিভাবকই। যেহেতু মোবাইল গেমটি নিষিদ্ধ নয়, তাই তার টুর্নামেন্ট আটকাতে প্রশাসনেরও কিছু করার নেই, এমনটাই বলছে সংশ্লিষ্ট মহল।