গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সোমবার ১০০ কোটির হেরোইন সমেত দুজনকে পাইকপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। এদের মধ্যে একজন উত্তরপ্রদেশ, অন্যজন মণিপুরের বাসিন্দা। তাদের জেরা করে অফিসাররা জানতে পারছেন, এরাজ্যে মাদক কারবারের জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর শিকড় পৌঁছে গিয়েছে অনেক গভীরে। উত্তরপ্রদেশের মাদক কারবারিরা টার্গেট করেছে সীমান্ত লাগোয়া মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলার যুবকদের। যাতে সহজেই তাদের মাধ্যমে কাঁটাতারের বেড়া টপকে মাদক পৌঁছে দেওয়া যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। এই এলাকার একাধিক যুবক মাদক চোরাচালানের কাজ করছে। পাশাপাশি তারা আবার জালনোটের কেরিয়ারও। বাংলাদেশ থেকে জালনোট নিয়ে আসার সময়ই এখান থেকে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছে হেরোইন, ব্রাউন সুগারের মতো মাদক। যা তুলে দিচ্ছে সেখানে নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবসায়ে জড়িত ব্যক্তিদের হাতে। বাংলাদেশের পাশাপাশি, বিভিন্ন জেলায় তা ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় যুবকদেরও চোরাচালানের কাজে নামানো হয়েছে। অফিসারদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্কে হাজারখানেকের বেশি যুবক কেরিয়ার হিসেবে কাজ করছে। যে কারণে তাদের অনেকেই জানে না মাদক পাচারের মূল পাণ্ডাকে। মোটা টাকার লোভেই তারা এই কাজে নেমে পড়েছে। এমনকী তাদের অনেককেই বৈধ পাসপোর্ট পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। যাতে সীমান্ত পেরিয়ে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয়। তাই কেরিয়াররা ধরা পড়লেও কারবারের শীর্ষে পৌঁছতে পারছেন না আধিকারিকরা।
জেরায় ধৃত জুবের ও ফয়জুদ্দিন পুলিসকে জানিয়েছে, স্লিপার সেলে ভাগ করে গোটা কারবার চলছে। এরকম একাধিক স্লিপার সেল চলছে কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলায়। তাদের স্লিপার সেলে থাকা ১২ জন যুবকের কথা জানিয়েছে ধৃতরা। যাদের নিয়োগ করেছে দুই অভিযুক্ত। এদের বেশিরভাগই বিভিন্ন জেলায় কাজ করছে। তারা বিভিন্ন সময়ে উত্তরপ্রদেশ ও মণিপুর গিয়েছে। এদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। লিঙ্কম্যানদের গ্রেপ্তার করে মাদক কারবারে রাশ টানতে চাইছে এসটিএফ।