নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘বুক ডে’, অর্থাৎ ২ জানুয়ারিতেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের পাঠ্যবই পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখনও বহু সার্কেল থেকে বইয়ের রিক্যুইজিশন এসেই চলেছে। স্কুলশিক্ষা কমিশনার সৌমিত্র মোহনের এক অর্ডারেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। ২১ জানুয়ারি ডিআইদের কাছে একটি নির্দেশ পাঠিয়ে কমিশনার বলেছেন, ডিরেক্টরেটের কাছে তথ্য এসেছে, এখনও বহু এসআই অতিরিক্ত পাঠ্যবইয়ের রিক্যুইজিশন পাঠাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় কথা, এজন্য সঠিক কোনও কারণ দেখানো হচ্ছে না। এই অবস্থায় ডিআইদের সেই বাড়তি বইয়ের রিক্যুইজিশনগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দেখবেন, ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টাল অনুযায়ী সেই সার্কেলে ক’জন পড়ুয়া রয়েছে। সেই সংখ্যার পাশে রেখে দেখা হবে, পশ্চিমবঙ্গ পুস্তক পর্ষদ কতগুলি বই সেখানে পাঠিয়েছে। যদি দেখা যায়, পড়ুয়ার সংখ্যার তুলনায় সেই সংখ্যা কম, তাহলে যথাযথ তথ্য দিয়ে বাড়তি বইয়ের জন্য রিক্যুইজিশন দেওয়া যেতে পারে। তাতে পর্ষদের পাঠানো বইয়ের সংখ্যা এবং বাংলার শিক্ষা পোর্টালে নথিভুক্ত হওয়া পড়ুয়াদের বিস্তারিত তথ্যের উল্লেখ থাকতে হবে।
তবে, এই অর্ডারের ফলে একটি প্রশ্ন উঠছে। একই দিনে কমিশনার একটি অর্ডার ইস্যু করে জানিয়েছিলেন, বাংলার শিক্ষা পোর্টালের আইডি না থাকার ফলে বহু স্কুলে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী, কোনও পড়ুয়াকে ফেরাতে পারে না সরকারি স্কুলগুলি। এমন হতে পারে যে, তারা বেসরকারি স্কুল বা এসএসকে-এমএসকে থেকে এসেছে। নয়ত অন্য কোনও কারণে তার আইডি তৈরি হয়নি। তাই পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে হবে। এই আইডি না থাকা সত্ত্বেও কোনও স্কুল যদি কিছু পড়ুয়া ইতিমধ্যেই ভর্তি নিয়ে থাকে, তাহলে তো তাদের সংখ্যা বাংলার শিক্ষায় উল্লিখিত থাকবে না। তাহলে সেই পোর্টাল দেখে পড়ুয়ার প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া কীভাবে সম্ভব?