বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের পর যে সব সরকারি কর্মী অবসর নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে। এই অবসরপ্রাপ্তরা জানুয়ারি থেকে প্রকৃত বর্ধিত হারে পেনশন পাবেন কি না, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছে। রাজ্য অর্থ দপ্তর অবশ্য বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জেলায় ট্রেজারি ও কলকাতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলেই বর্ধিত পেনশন ‘প্রভিশনালি’ জানুয়ারি থেকেই দিতে শুরু করবে। তবে পেনশন প্রাপকদের সংগঠনগুলি প্রশ্ন তুলেছে, জানুয়ারি মাসের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে। তার মধ্যে সবাই কীভাবে ফর্ম পূরণ করে তা জমা দেবেন? অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বর্ধিত গ্র্যাচুইটি ও পেনশন বিক্রির টাকা এজি অফিস সংশোধিত পেনশন পেমেন্ট অর্ডার জারি করার পরই পাওয়া যাবে।
ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে। ওই সময়ের পর যে সরকারি কর্মীরা অবসর নিয়েছেন, কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে তাঁদের যে বর্ধিত বেতন হার হওয়ার কথা, তার উপর নতুন পেনশন নির্ধারিত হবে। ষষ্ঠ বেতন কমিশন গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ পরিমাণও বাড়িয়েছে। এর সুবিধাও ২০১৬ সালের পর অবসর নেওয়া কর্মীরা পাবেন। নতুন করে পেনশনের অংশ বিক্রি করে এককালীন টাকা নেওয়ার সুযোগও ওই অবসরপ্রাপ্তরা পাবেন। এই সুবিধাগুলি দেওয়ার ক্ষেত্রে এজি অফিসের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ হওয়ার কারণে রাজ্য সরকার ঠিক করেছিল, পেনশন অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের সুপারিশের ভিত্তিতে বর্ধিত হারে পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা দিয়ে দেওয়া হবে। বিষয়টি এজি-কে শুধু জানিয়ে রাখা হবে। কিন্তু এজি অফিস থেকে এব্যাপারে লিখিতভাবে আপত্তি জানানো হয়। রাজ্য অর্থ দপ্তরের পাল্টা যুক্তি মানেনি এজি অফিস। কারণ অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন ও অন্যান্য অবসরকালীন প্রাপ্য কী হবে, সেব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এজি অফিস নেয়। ফলে অবসরপ্রাপ্তদের বর্ধিত পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা নতুন করে দেওয়ার জন্য এজি অফিসের অনুমোদন নিতে হচ্ছে।