বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তবে এবার নেতাজির জন্মদিন স্মরণ করার ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে নজর কেড়ে নিয়েছে ঝাড়খণ্ডের নবনির্বাচিত সরকার। হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিরোধী জোটের এই সরকার ফের ২৩ জানুয়ারি দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেছে। পশ্চিমবঙ্গের পর দেশের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে এই ছুটির কথা ঘোষণা করেছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার এই আদেশ জারি করে বলেছেন, বিগত পাঁচ বছরে বিজেপি সরকার থাকাকালীন এই ছুটি বাতিল করে দিয়েছিল। নেতাজির মতো মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর অবদানকে স্বীকৃতি দিতে আমরা ফের তা চালু করছি। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে হেমন্তকে বুধবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস। দেবব্রতবাবু আজ কটকে নেতাজির আদি বাড়ি থেকে শুরু হতে চলা একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় অংশ নেবেন।
এদিকে, কলকাতায় আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিও রয়েছে। এর মধ্যে বামপন্থীদের কর্মসূচিটি হবে সবচেয়ে বড় মাপের। কেন্দ্রীয় নেতাজি জয়ন্তী কমিটির ব্যানারে বামফ্রন্টের শরিক দলগুলির নেতা-সমর্থকরা বেলা ১১টার পর রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জড়ো হবেন। সেখানে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান ও সংক্ষিপ্ত ভাষণ পর্বের পর বর্ণাঢ্য মিছিল হবে রেড রোড পর্যন্ত। রেডে রোডের মূর্তিতে দ্বিতীয় দফার শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্বের পর তাদের কর্মসূচি শেষ হবে। কংগ্রেসও তাদের দলীয় দপ্তরে কর্মসূচি পালন করবে। করবে শাসক দল তৃণমূলও। বামেদের মধ্যে সিপিআই এদিন সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে বিশেষ আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে। তাতে অংশ নিতে দলের সর্বভারতীয় তরুণ-তুর্কি নেতা কানহাইয়াকুমার আসছেন। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে থাকবেন সিপিএমের সেলিম, লিবারেশনের দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং কংগ্রেসের সোমেন মিত্র। কংগ্রেস ও বামেরা এবার নেতাজি স্মরণেও নাগরিকত্ব আইন বিতর্ককে মানুষের সামনে তুলে ধরার প্ল্যান করেছে। একই সঙ্গে ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসেবে দিনটি ঘোষণা না করার জন্য কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনায়ও মুখর হয়েছে তারা। তবে এই সমালোচনা এখন নেতাজি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে থেকেও শোনা যাচ্ছে।