ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
সিএএ সংসদে পাশ হলেও দেশজুড়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এরাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে শামিল হয়েছেন। রাজ্যের জেলায় জেলায় পদযাত্রা করছেন। এরই মধ্যে প্রথমে বাম শাসিত কেরল এবং পরে কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব নিজেদের রাজ্য বিধানসভায় সিএএ প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। কেরল সরকারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে বাংলাতেও সিএএ নিয়ে সর্বদলীয় প্রস্তাব পাশ করাতে বিরোধী কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের পক্ষে অধ্যক্ষের কাছে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। গত মাসে একদিনের জন্য কেন্দ্রের সংরক্ষণ আইন পাশ করাতে অধিবেশন বসেছিল। বিরোধীরা চেয়েছিল, সেই অধিবেশনেই তাদের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে তা গ্রহণ করুক রাজ্য বিধানসভা। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, দেরিতে হলেও সেই পথেই আসতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু কেন, এভাবে দেরি করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে বলে দাবি মান্নানের। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, কয়েক সপ্তাহ আগে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেন, নভেম্বরে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব তাঁরা গ্রহণ করেছেন। তাই আর নতুন করে বিরোধীদের আনা সিএএ সংক্রান্ত প্রস্তাবের কোনও প্রয়োজন নেই। সুজন বলেন, এই কদিনে কী এমন ঘটল যে মুখ্যমন্ত্রীর মত বদলে গেল ?
বিরোধীদের এই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গণতন্ত্রকে বাঁচানোটাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু বিরোধীদের আচরণে মনে হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করাটাই তাদের অগ্রাধিকার। তাঁর কটাক্ষ, বিরোধীরা টিউবলাইটের মতো দেরিতে জ্বলে। এখন তাই বুঝতে পারছে না। তারা আসলে বিজেপিকে শক্তিশালী করছে। তাঁর দাবি, বিরোধীদের আগেই এই প্রস্তাব আনার জন্য আবেদন অধ্যক্ষের কাছে তাঁরা জমা দিয়েছিলেন। যেহেতু একটি কেন্দ্রীয় আইনের বিষয়ে অধিবেশন ডাকা হয়েছিল, তাই সেখানে ওই প্রস্তাব গ্রহণ করার সুযোগ ছিল না। মান্নান বলেন, পুরোপুরি অসত্য কথা বলছেন পরিষদীয় মন্ত্রী। সুজন বলেন, তাঁরা চ্যালেঞ্জ করছেন, এই ধরনের প্রস্তাব আগে কখনই জমা দেয়নি সরকারপক্ষ। এই তরজা সত্ত্বেও এদিন বিরোধী দলনেতা মান্নানকে ফোন করে অধিবেশনের বিষয় জানান। তিনি বলেন, দেশের বহুত্ববাদের স্বার্থে এই ধরনের বিভাজনমূলক আইন প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র। যারা যারা সিএএর বিরুদ্ধে, আমারা আশা তারা এই প্রস্তাব সমর্থন করবে।