বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর আগে কমিশন রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, কোন কোন পুরসভার মেয়াদ কবে শেষ হচ্ছে এবং কতদিনের মধ্যে ভোট করা দরকার। হাওড়া সহ যে ১৭টি পুরসভার মেয়াদ ২০১৮ সালের অক্টোবর ও ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়েছে, সেখানে কবে ভোট হবে, তা জানতে চেয়েও চিঠি দিয়েছিল কমিশন। জানা গিয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির পর চিঠি দিয়ে ভোটের দিনক্ষণ জানিয়ে দেবে রাজ্য পুর-নগরোন্নয়ন দপ্তর।
ব্যালটে ভোট করার অভিজ্ঞতা কমিশনের রয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের সঙ্গেই পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করেছে। সেই ভোটও হয়েছে ব্যালটে। তাই পুরসভার ভোট ব্যালটে করতে কোনও অসুবিধা হবে না তাদের। তার জন্য যে সংখ্যক ব্যালট বাক্স দরকার, তা কমিশনের কাছেই আছে। ফলে নতুন করে তা কিনতে বা জোগাড় করতে হবে না। অতিরিক্ত কাজ বলতে, মনোনয়নপত্র পরীক্ষা শেষে ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নাম ছাপানো। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাকেই মান্যতা দিতে হবে কমিশনকে। রাজ্য সরকার ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করে কমিশনকে জানানোর পর তারাই আনুষ্ঠানিকভাবে দিন ঘোষণা করবে। আইন অনুযায়ী, তারা নিজে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
আপাতত ঠিক হয়েছে, রাজ্যের অন্য পুরসভার ভোট এই পর্বে হলেও বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের আটটি পুরসভার ভোট এখন হবে না। ওই আটটি পুরসভা নিয়ে পৃথক পুরনিগম বা কর্পোরেশন তৈরি হবে। পুরভোট মিটলে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। বারাকপুর কর্পোরেশন তৈরির সিদ্ধান্ত সরকারের শীর্ষস্তরে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে সেখানে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যাবে। নাগরিক পরিষেবার মান ও সুযোগ-সুবিধাও বাড়বে বলে মনে করছেন নবান্নের শীর্ষকর্তারা। সেখানে পরে নির্বাচন হবে বলে ঠিক হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’-তিন দফায় গোটা রাজ্যে পুরভোট হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর রাজ্যে ভোটের দামামা বেজে যাবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল।