ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
অসমের নাগরিকপঞ্জি থেকে লক্ষাধিক গোর্খার নাম বাদ যাওয়ার পর বিজেপি ছাড়া পাহাড়ের আর কোনও রাজনৈতিক দলই সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানকে সমর্থন করছে না। বরং এসব বাতিল করার দাবিতে মমতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলন ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (বিনয় গোষ্ঠী)। ধর্না, অবস্থান আর মিছিলে সরগরম এখন গোটা পাহাড়। বিজেপি তথা কেন্দ্র বিরোধী এই বাতাবরণের মধ্যে আজ, বুধবার পাহাড়ে ওই তিনটি ইস্যুতে মিছিলে হাঁটবেন মমতা। দার্জিলিং ম্যালের কাছে ভানুভক্ত ভবনের সামনে থেকে তার সূচনা হবে। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে মিছিল শেষ হবে চকবাজারের মোটর স্ট্যান্ডে। এই মিছিলে সমর্থনের পাশাপাশি তাতে অংশ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মোর্চার প্রধান বিনয় তামাং ও অনীত থাপা। ইস্যুকে সমর্থন করলেও, মিছিলে অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা করেছেন পাহাড়ে বিজেপি’র সহযোগী জিএনএলএফ-এর মহেন্দ্র ছেত্রী। তবে মিছিলে অংশ নেবেন পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর লোকজন। আসবেন তাঁদের চিরাচরিত পোশাক ও বাদ্যযন্ত্র সহকারে। সব মিলিয়ে মমতার মিছিল ঘিরে পাহাড়জুড়ে এখন কেন্দ্র বিরোধী উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসির দুর্ভোগ থেকে গোর্খাদের ‘রক্ষাকবচ’ হিসেবে মোর্চা চাইছে ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি)। সঙ্গে প্রকৃত অধিবাসীর স্বীকৃতি। জিএনএলএফ চাইছে, ষষ্ঠ তফসিলে গোটা এলাকার অন্তর্ভুক্তি। মোর্চার বক্তব্য, কেন্দ্রের অবস্থানটা ঠিক কী, তা অসমের গোর্খারা বুঝেছেন। আমাদের এই আন্দোলন শুধু অসমের জন্য নয়, গোটা দেশের গোর্খাদের জন্য। ১৯৯০ পর্যন্ত এখানে আইএলপি চালু ছিল। সেটাই চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি গোর্খা বিরোধী। তাই এর বিরোধিতার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানকে সমর্থন করছি, জানিয়েছেন মোর্চা নেতা অনীত থাপা।
শিলিগুড়ি থেকে সোমবার সন্ধ্যায় দার্জিলিং পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যবারের মতোই এদিন সকালে হাঁটতে বের হয়ে পাহাড়ের লোকজনের সঙ্গে জনসংযোগ সারেন তিনি। ম্যাল চৌরাস্তার কাছে এদিন সকালে চলছিল শিশুদের পোলিও খাওয়ানো কর্মসূচি। সেখানে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। পরম মমতায় তিনটি শিশুকে পোলিও খাওয়ান তিনি। খেয়াল করেন, যে পরিমাণ ঠান্ডা এখন পাহাড়ে, সে তুলনায় পর্যাপ্ত শীত পোশাক নেই শিশুদের গায়ে। রাস্তার উল্টোদিকে একটি দোকান থেকে নিজে বাছাই করে কিনে ফেলেন তিনটি সোয়েটার। তুলে দেন তিনটি শিশুর হাতে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে অপ্রত্যাশিত উপহারে খুশিতে ডগমগ শিশুরা। একরাশ হাসি নিয়ে উচ্ছ্বল মমতাও।