ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
গত ১৭ জানুয়ারি প্রকাশিত ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকায় দেখা গিয়েছে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। কারও ওয়ার্ড মহিলা হয়েছে, কারও ওয়ার্ড তফসিলি জাতি-উপজাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। সেই তালিকায় যেমন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি আছেন, তেমনি আবার দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায়, উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব, খড়্গপুরের প্রদীপ সরকার, বিষ্ণুপুরের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, টিটাগড়ের চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী, নৈহাটির অশোক চট্টোপাধ্যায়, কাঁচরাপাড়ার চেয়ারম্যান সুদামা রায়, বনগাঁর চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য প্রমুখ রয়েছেন।
এর মধ্যে কেউ কেউ ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন না। কিন্তু দলের নির্দেশে তাঁদের ফের প্রার্থী হতে হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। কলকাতার কাছাকাছি দুটি বড় পুরসভার চেয়ারম্যান দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, আর ভোটে দাঁড়াবেন না। রাজ্যস্তরের এক তৃণমূল নেতা বলেন, পুরসভার চেয়ারম্যান হলেন দলের মুখ। তাঁকে সামনে রেখেই পুরসভা এলাকায় নানা ধরনের নাগরিক পরিষেবার কাজ হয়েছে। গত পাঁচ-সাত বছরে রাজ্যে পুরসভাগুলির এলাকায় সার্বিক পরিবর্তন হয়েছে। তাঁদের ওয়ার্ড সংরক্ষিত হলেও পুর এলাকার সাধারণ ওয়ার্ডেই তাঁরা প্রার্থী হবেন। ১০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশের পর প্রার্থী তালিকার কাজ শুরু হবে। তখন কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না, সকলকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব ঠিক করেছে। তবে কে, কোথায় প্রার্থী হবেন বা কোন ওয়ার্ডে দাঁড়াবেন, তা চেয়ারম্যানের মতামত নিয়ে এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা নেতৃত্ব।
এপ্রিল মাসে ভোট ধরে নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। প্রচারে গত পাঁচ বছরের সাফল্য তুলে ধরাই হবে তৃণমূলের লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে প্রথমে হবে কলকাতা পুরসভার ভোট। দলের মধ্যে প্রথমে শুরু হবে কলকাতা পুরসভার প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ। তৃণমূলের লক্ষ্য, কলকাতা পুরসভার পুনরায় দখল করে তারপর রাজের অন্য পুরসভা দখলে ঝাঁপাবে তারা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পুরসভার কোন ওয়ার্ডে কে দাঁড়াবেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা জোরকদমে শুরু হয়েছে। প্রার্থী তালিকা কী প্রক্রিয়ায় তৈরি হবে, তা ঠিক করবে তৃণমূল পুরদল।