পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সাফ নির্দেশ- অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাংলার কৃষকদের পাশে সর্বদা থাকবে রাজ্য সরকার। সেই সূত্রেই কৃষকদের মূল সম্পদ শস্যের বিমা করার নয়া প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০১৮-১৯ পর্যন্ত এ রাজ্যে ‘প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা’ চালু ছিল। তাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ৫০ শতাংশ করে বিমার খরচ বহন করত। অনলাইনে এই বিমার অধীনে আসার জন্য আবেদন করতে হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের কৃষকরা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা দিল্লির সরকারের যাবতীয় প্রশংসাসূচক বার্তা আসছে। রাজ্য সরকার মোট বিমা খরচের অর্ধেক দায়ভার নিলেও আবেদন প্রক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চিহ্নমাত্র নেই। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিকভাবেও বাংলার কৃষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে আর্থিক দায়ভারের প্রসঙ্গ ঘিরে। নবান্নের ওই কর্তার দাবি, এমন অভিযোগও উঠেছে যে, বিমা সংস্থাগুলিকে টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার অহেতুক বিলম্ব করায় অনেক ক্ষেত্রে নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণ পেতে কৃষকদের চূড়ান্ত দুর্ভোগ হয়েছে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের নাম বাংলা শস্য বিমা যোজনা করে দেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে এক পয়সা আর্থিক সহায়তা না নিয়ে রাজ্য এককভাবে এই প্রকল্প রূপায়ণে চলতি আর্থিক বছর থেকেই মাঠে নেমে পড়ে। কী এই প্রকল্পের সুবিধা? জানা গিয়েছে, নানা প্রতিকূল পরিবেশগত সমস্যার জেরে অনেক সময়ই ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এই বিমায় অন্তর্ভুক্ত থাকলে কৃষকরা এমন ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন। সূত্রের দাবি, গত অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় প্রায় ৩৭২ টাকা খরচ হয়েছিল। তবে নয়া প্রকল্পে কৃষকরা আগের তুলনায় অনেক বেশি আগ্রহী। কারণ, বাংলা শস্য বিমা যোজনা পুরোপুরি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় গোটা প্রক্রিয়াটি অতি সরল এবং দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। তাই আশা, আরও বেশি সংখ্যক কৃষক এর আওতায় আসবেন রবি মরশুম শেষে। সেজন্য আগেভাগেই এই প্রকল্পে বরাদ্দ একলাফে অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিভাগীয় কর্তাদের।