কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মূল সংগঠন মাদারের সঙ্গে যুব শাখার কোথাও কোন বিরোধ ছিল না। কয়েকবছর আগে জার্সি বদল করে আসা এক ব্যক্তিকে যুবর মাথায় বসানোর পর থেকে বিরোধ শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যে অনেক জায়গাতে এলাকা কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে বাসন্তীতে মাদারের সঙ্গে যুবর খুনোখুনি হয়েছে। খুন হয়েছে জয়নগরে। মারা গিয়েছে দলের লোকজন। কুলতলি, জয়নগর, গোসাবা থেকে বিষ্ণুপুরে রীতিমতো বিভাজন হয়ে গিয়েছে দল। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুবর ওই নেতাকে দফায় দফায় রীতিমতো কড়া সুরে শাসিয়েছেন। তারপর সেই বিরোধ প্রকাশ্যে না এলেও তলে তলে বহু জায়গাতে হচ্ছে। সম্প্রতি বারুইপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিষয়টি শুরু হয়েছে। বহু জায়গাতে বিমানবাবুর সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই জেলা যুব থেকে আলাদা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। যুবর কাকে কোন পদে বসানো যায়, সে ব্যাপারে স্পিকার ও তাঁর শিবিরের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ফলে নানা বিষয়ে বিমানবাবুদের মাদারের শিবিরের সঙ্গে যুবর মতান্তর হচ্ছে। তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিমানবাবুর কাছে নালিশ করেছেন বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের মাদারের নেতৃত্ব। তা নিয়ে মনে মনে ক্ষুব্ধ ছিলেন বিমানবাবু। রবিবার বিকেলে রবীন্দ্রভবনে যুবর সভায় মনের সেই ক্ষোভ সরাসরি উগরে দেন তিনি। বিধানসভার স্পিকার বলেন, যুব-মাদারের সঙ্গে অনেক জায়গাতে বিরোধ শুরু হয়েছে। বারুইপুরে তা কোনওভাবে হতে দেব না। এ কথা সাফ জানিয়ে দিতে চাই। এটা মনে রেখে চলার চেষ্টা করলে ভাল হয়। তিনি সেখানে হাজির যুব দলের ওই বিতর্কিত নেতাকে ঠেস মেরে কড়া মেজাজে বলেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এখানে অনেককে যুবর পদে বসানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গাতে যুবর পক্ষ থেকে আলাদা বুথ কমিটি করা হয়েছে। কিন্তু কারও সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। এটা কেন হবে? সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হত। তিনি বলেন, রাজনৈতিক লড়াই একক সিদ্ধান্তে হয় না। ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে তা সফল হয়।