রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রাজ্য কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে প্রথম দফায় ৬২ টনের মতো পেঁয়াজ নাফেডের মাধ্যমে এসেছে। এখানে এর কেজি প্রতি দাম পড়েছে ৬০ টাকার আশপাশে। প্রথম সরবরাহে পাওয়া ওই পেঁয়াজ বিক্রির ব্যবস্থা মোটামুটি হয়ে গিয়েছে। তখন সুফল বাংলার স্থায়ী, অস্থায়ী স্টল, রেশন দোকান সহ বিভিন্ন সরকারি ব্যবস্থার মাধ্যমে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। খুচরো বাজারে দাম তখনও কিছুটা বেশি থাকায় প্রথম দফায় আসা বিদেশি পেঁয়াজ মোটামুটি উতরে গিয়েছে।
সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায় নাফেডের মাধ্যমে প্রায় ৬১ টন পেঁয়াজ এসেছে। দাম পড়েছে ৬০ টাকার আশপাশে। এই পেঁয়াজ বিক্রি করা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। খুচরো বাজারে এখন মহারাষ্ট্র থেকে সরবরাহ করা পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কলকাতার পাইকারি বাজারে অবশ্য দাম ২৫-৩৫ টাকা। সুফল বাংলার স্টলেও এখন পেঁয়াজের দাম কমিয়ে ৫২ টাকা কেজি করা হয়েছে।
তুরস্ক থেকে আমদানি করা ওই বিদেশি পেঁয়াজ বড় সাইজের ও স্বাদ তেমন নেই বলেই জানা গিয়েছে। ফলে সরকারি সুফল বাংলার স্টলে ওই পেঁয়াজ কতটা বিক্রি হবে, সে ব্যাপারে সন্দিহান সরকারি আধিকারিকরাই। কৃষি বিপণন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিদেশি পেঁয়াজ আর নেওয়া হবে না। আমদানি করা যে পেঁয়াজ চলে এসেছে তা নিয়ে সরকারি স্তরে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। রেশনের মাধ্যমে ওই পেঁয়াজ বিক্রি করার চেষ্টা চলছে। খাদ্যদপ্তর কয়েকদিন আগেই নির্দেশিকা জারি করে জানায়, কৃষি বিপণন দপ্তর চাইলেও আর রেশনে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে না। কিন্তু এখন আবার রেশনে পেঁয়াজ বিক্রির চেষ্টা চলছে। ঠিক হয়েছে, ৩৮ টাকা কেজি দরে রেশন ডিস্ট্রিবিউটরদের পেঁয়াজ দেওয়া হবে। তারা ৪০ টাকায় তা রেশন ডিলারদের কাছে বিক্রি করবেন। রেশন দোকানে ৪৪ টাকা কেজি দরে সাধারণ মানুষ পেঁয়াজ কিনবেন। কিন্তু রেশন ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, রেশনে পেঁয়াজ বিক্রি করতে তাঁরা যে রাজি নন, সেটা কয়েকদিন আগেই খাদ্য দপ্তরকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দাম কমানো হলেও রেশনে পেঁয়াজ বিক্রি করতে তাঁরা চাইছেন না। কারণ দাম কমলেও ওই পেঁয়াজ বিক্রি হবে না। সরকারি মহলে এখন চিন্তাভাবনা চলছে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য ওই বিদেশি পেঁয়াজ বিক্রি করা যায় কি না।
কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্যা আরও জটিল। চুক্তি অনুযায়ী ইতিমধ্যেই তুরস্ক ও মিশর থেকে প্রায় ১৮ হাজার টন পেঁয়াজ চলে এসেছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে আরও প্রায় ১৮ হাজার টন আসবে। কিন্তু রাজ্যগুলি আগে প্রচুর পরিমাণে চাইলেও পশ্চিমবঙ্গ সহ মাত্র কয়েকটি রাজ্য সব মিলিয়ে মাত্র দুই হাজার টন পেঁয়াজ নিয়েছে। তারা আর নিতে চাইছে না।