গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিভাস চক্রবর্তী বলেন, আমি শ্রীহট্টের মানুষ। আমারও কাগজপত্র নেই। বহু দরিদ্র, প্রান্তিক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা পরিচয়পত্র কখনও তৈরিই করতে পারেননি। তাঁরা কোথায় যাবেন? এভাবে এতগুলো মানুষকে রাষ্ট্রহীন করে দেওয়া যায় নাকি? এটা তো অমানবিক। প্রতিবাদ করলেও কদর্য আক্রমণ করা হচ্ছে। বাঁ পা থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত। বয়সও পঁচাত্তর ছুঁয়েছে। তবু পাঁচ কিলোমিটারেরও দীর্ঘপথ মিছিলের সঙ্গে টানা হেঁটেছেন লোকগীতি গবেষক শুভেন্দু মাইতি। বলেন, আইনের জন্য মানুষ, নাকি মানুষের জন্য আইন? কোনও সভ্য দেশে এই কাজ হয়! এই রাগটাই আমাকে হাঁটার শক্তি জোগাচ্ছে। মিছিলে আগাগোড়া হেঁটেছেন বড় পর্দার ‘হারবার্ট’ শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের কাজ অভিনয় করা, মানুষকে আনন্দ দেওয়া। কখনও ভাবিনি, এর জন্য আমাদের পথে নামতে হবে। এত দীর্ঘ মিছিলে তো কেউ শখে হাঁটে না। রাষ্ট্রকে একটা কথাই বলার, তার সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। কিন্তু নাগরিকদের তাঁদের মতো বাঁচতে দেওয়া হোক। ছাত্রদের উপর এই আক্রমণের অবসান হোক। চন্দন সেন বলেন, মহারাষ্ট্রে লং মার্চ দিয়ে যে প্রতিবাদের সুচনা হয়েছিল, এই মিছিলে সেই বৃত্তই পূর্ণ হল। প্রতিবাদের একটা বড় পরিসরের অংশ এটি।
প্রবীণদের মধ্যে দুলাল লাহিড়িও প্রায় গোটা পথটাই হাঁটেন। ছিলেন মেঘনাদ ভট্টাচার্য, অশোক মুখোপাধ্যায়, সোহাগ সেন, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়রা। কম বয়সিদের মধ্যে সুজন (নীল) মুখোপাধ্যায়, পল্লব কীর্তনীয়া, দেবদূত ঘোষ, দামিনী বেণী বসুর মতো পরিচিত মুখও। মাঝপথে মিছিলে যোগ দেন শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। একটি নাটকের দলের হয়ে মিছিলে ছিল সদ্য কিশোর প্রবীর হালদার। এটাই প্রথম মিছিল। তারই সমবয়সী প্রিয়ঙ্কা জানাল, এর আগেই এনআরসি বিরোধী মিছিলে হেঁটেছে সে। মিছিল থেকে বার বারই নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সরকার নিপাত যাক স্লোগান উঠছিল। অনেকের হাতেই ধরা ছিল জাতীয় পতাকা। মিছিল শেষে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের কাছে একটি সভা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন পবিত্র সরকার। শুভেন্দু মাইতি গান ধরেন। প্রতিবাদী মিছিলে হেঁটে আক্রান্ত হওয়া কৌশিক সরকারও মঞ্চে বক্তব্য রাখেন।