উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে সুন্দরবন দপ্তরের এক বিভাগীয় কর্তা বলেন, বাম আমলে এই বিভাগকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হতো না। কিন্তু প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষের সার্বিক উন্নয়নে মা-মাটি-মানুষের সরকার সুন্দরবন দপ্তরকে কাজের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল। প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার মেনে প্রতিটি প্রকল্পের শুরু এবং শেষ করার দিনক্ষণ আগে থেকে ঘোষণা করতে হতো। নবান্নের এই তীক্ষ্ণ নজরদারির সৌজন্যে এই সময়ে এই বিরাট কর্মকাণ্ড শেষ করা গিয়েছে বলে দাবি ওই কর্তার। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের বিবিধ প্রান্তকে জুড়তে সপ্তমুখী সেতু, সুতারবা সেতু, কুমারপুরবাজার সেতু, শিকিরহাট সেতু, মৃদঙ্গ সেতু এবং আদিবাসী বাজার নিয়ে মোট ছয়টি ব্রিজ তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলার দক্ষিণ প্রান্তের এই জেলার ক্রীড়া প্রতিভাকে তুলে আনার লক্ষ্যে রায়দীঘি এবং ক্যানিংয়ে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এছাড়াও সুন্দরবনের কৃষিক্ষেত্রের সহায়তার জন্য বিবিধ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওই কর্তা। প্রায় চার লক্ষের বেশি চাষিকে বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নদী ভাঙনের আশঙ্কায় জর্জরিত ওই এলাকার মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস জাগাতে সুন্দরবন দপ্তরের তরফে বিরাট এলাকায় ম্যানগ্রোভ বনসৃজন করা হয়েছে। দপ্তর সূত্রের দাবি, প্রায় চার হাজার হেক্টর এলাকায় বনসৃজনের কাজ শেষ করা হয়েছে। যার জেরে নদী ভাঙন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে সুন্দরবনে কিছুটা হলেও আড়াল করা গিয়েছে বলে দাবি বিভাগীয় আমলাদের।