উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
ফলে মাসকাবারি বাজারের মতো যাঁদের ওষুধ কিনতে হয়, দামের আঁচে পুড়ছেন বেশি তাঁরাই। ওষুধ কিনতে মাসে বাজেটের বাইরে খরচ হচ্ছে কমবেশি ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা। আরও চাঞ্চল্যকর খবর হল, কেন্দ্রীয় ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার অনুযায়ী ফি বছর ১০ শতাংশ করে ওষুধের দামবৃদ্ধিতে ছাড়পত্র মেলে। তার বেশি (সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ) দাম বাড়াতে বিশেষ অনুমতি লাগে। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) সেই অনুমতি নিয়ে অন্তত ২১টি প্রয়োজনীয় ওষুধের মূল উপাদানের দাম ৫০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিসিজি ভ্যাকসিন, ম্যালেরিয়ার ওষুধ প্রভৃতি।
মাথাব্যথার এখানেই শেষ নয়। জিএসটি প্রত্যাহারের বদলে ওষুধে জিএসটি শূন্য, পাঁচ ও ১২ শতাংশ থেকে একলাফে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করার আশঙ্কা রয়েছে। আর একটি স্ল্যাবে থাকা কিছু ওষুধের জিএসটি ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করার আশঙ্কা রয়েছে। ওষুধের দোকানদারদের সর্বভারতীয় সংগঠন অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অব কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট-এর সভাপতি জে এন সিন্ধে ক’দিন আগে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। ফলে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে আগামী দিনে আরও নাভিশ্বাস উঠতে পারে।
শুক্রবার বেলেঘাটার খুচরো দোকানদার জয়প্রকাশ শর্মা বললেন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, অ্যামোক্সিসিলিন সহ বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক, ডোমপিরিডনের মতো বমির ওষুধ, অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ, প্রেসারের ওষুধের দাম দু’তিন মাসে ১০ শতাংশ বেড়েছে। কিছু ওষুধের দাম আরও বেড়েছে। শিয়ালদহের খুচরো ওষুধের দোকানদার শেখর সাহা বলেন, কোলেস্টেরলের জরুরি ওষুধ অ্যাটরভাসটাটিনের একটি ব্র্যান্ডের ১৫টি ট্যাবলেটের দাম মাসদুয়েক আগে ছিল ৮০ টাকা। বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা। রাজ্যের ওষুধের দোকানদারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বিসিডিএস’র দুই শীর্ষকর্তা শঙ্খ রায়চৌধুরি ও সজল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যদি ওষুধে জিএসটি ন্যূনতম না হয় বা উঠে না যায়, তাহলে রাস্তায় নামব। অল ইন্ডিয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশন-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ সরকার বলেন, এক লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধ ব্যবসাকে সম্ভবত অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে কেন্দ্র। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।