বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন শহরে এসে সিএএ প্রসঙ্গে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, যাঁরা এর বিরোধিতা করছেন, তাঁরা আইনে একটি শব্দ বা লাইন দেখান, যেখানে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা আছে। যদি তা না থাকে, তাহলে কীসের বিরোধিতা? তাঁর কথায়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, তিনি রাজ্যে ভালো কাজ করতে পারছেন না। নেতাদের দুর্নীতি থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘোরানোর জন্যই তিনি এসব করছেন। মন্ত্রীর কথায়, যে সব মুসলিমরা এদেশে আছেন, তাঁরা যেমন আছেন, তেমনই থাকবেন। আসলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যাঁরা অত্যাচারিত হয়ে এখানে এসেছেন, তাঁদের পরিবারকে সেখানে বেইজ্জত করা হয়েছে, তাঁদের এখানে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক, এটা চান না মমতা এবং বিরোধীরা। আগে বিরোধীরা সেসব দেশের নাগরিকত্বের কথা বলতেন। এখন মোদি সরকার যখন তা করছে, তাহলে আজ কেন তাঁরা তার বিপক্ষে গেলেন? আমি সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে অন্তত ৩০ বার জিজ্ঞাসা করেছি, আইনে কোথায় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা রয়েছে? তাঁরা কেউ উত্তর দিতে পারেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই বিষয়ে চুপ। তাহলে কেন এই বিরোধিতা? মন্ত্রীর অভিযোগ, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রীস্টানরা এখানে নাগরিকত্ব পান, তা চান না তাঁরা।
এদিন অনুরাগ ঠাকুর বলেন, এনপিআর আনা হয় ২০১০ সালে। তখন কংগ্রেস, বাম, মমতা, অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা তার বিরোধিতা করেননি। তাহলে আজ বিরোধিতা কেন? কোনও ব্যক্তি যদি ছ’মাস বা তার বেশি এদেশে থাকতে চান, তাহলে তাঁর সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে অসুবিধা কোথায়? কোনও দেশের সরকারের কি সেই সংক্রান্ত তথ্য জানার অধিকার থাকতে পারে না? তাহলে তো বিশ্বের কাছে দেশের সীমান্তগুলি খুলে দিতে হয়।
রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের যেভাবে নিত্যদিন সংঘাত চলছে, তা নিয়েও এদিন মুখ খোলেন অনুরাগ। তিনি বলেন, এরাজ্যে সংবিধান, সাংবিধানিক পদ বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার। এটা ঠিক নয়। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও অরাজকতা চলছে। কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজনীতির আড্ডাখানা তৈরি করে ফেলেছে। তারা আগ্রহী পড়ুয়াদের সেখানে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।