কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কেন্দ্রের মোদি সরকারের তৈরি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পাশাপাশি এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে জমিয়তে গোড়া থেকেই তীব্র আপত্তি জানিয়ে এসেছে। সংগঠনের জাতীয় সভাপতি আসাদ মাদানি সিএএ’র সংশোধনী নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিমকোর্টে মামলা ঠুকেছেন। সম্প্রতি মোদির কলকাতা সফরের সময় সংগঠনের তরফে রাজ্যজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভও দেখানো হয়। পার্ক সার্কাস ময়দানে সংখ্যালঘু মহিলাদের লাগাতার ধর্নায় সহমর্মিতাও দেখায় তারা। কিন্তু সংগঠন সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে চলা আন্দোলনের সময় রাজভবনে মোদির সঙ্গে মমতার একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়ে সমর্থকদের একাংশের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্দিকুল্লা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনার জন্য সময় চান। এদিন সকালে প্রথমে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে গেলেও দর্শন প্রার্থীদের ভিড়ে সেখানে আর বৈঠক করা হয়নি সিদ্দিকুল্লার। পরে মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় তাঁরা নবান্নে আলোচনায় বসেন।
সিদ্দিকুল্লা বলেন, অত্যন্ত খোলামেলা আবহে আমাদের আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ঘিরে বিভ্রান্তির প্রসঙ্গও আসে আলোচনায়। সেই সময় তিনি স্পষ্ট বলেন, বিরোধীরা এই বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বাধ্যবাধকতা মেনে তিনি শুধু সৌজন্য দেখাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওইদিন দেখা করতে গিয়েছিলেন। কোনও ফুলের তোড়া পর্যন্ত সঙ্গে নিয়ে যাননি। উল্টে রাজ্যের দাবিদাওয়ার কথা বলেছেন। এমনকী, বাংলায় যে তিনি এনআরসি-সিএএ-এনপিআর কার্যকর করতে চান না, সেটাও মোদিকে সেদিন সাফ জানিয়েছেন। রাজ্যের অতিথি হিসেবে এই সৌজন্যটুকু তাঁকে দেখাতে হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে দিল্লি এখন ফাঁকফোকর খোঁজার কাজ করছে। বিজেপি লোক-টাকাপয়সা ঢুকিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তাই এই বিভ্রান্তি দূর করার দায়িত্ব নিন আপনারা।