পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রতিটি পুরসভাতেই এই খসড়া তালিকা নিয়ে চাপা উত্তেজনা চলছে। অনেক মেয়র বা চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য এবং কাউন্সিলারদের ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাবে। কার আসন কী হল, তা নিয়ে কাউন্সিলারদের উদ্বেগের শেষ নেই। ফলে প্রতিটি পুরসভাতেই নানা ধরনের জল্পনা চলছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই ১১০টি পুরসভার ভোটের দিনক্ষণ ঠিক হবে। এরপর শুধুমাত্র বাকি থাকবে বোলপুর ও সিউড়ি পুরসভার সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশ। কারণ, ওই দু’টি পুরসভায় ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়ছে। ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হলে সেখানে সংরক্ষণের খসড়া প্রকাশ হবে।
বাকি ১৭টি পুরসভার খসড়া তালিকা আগেই তৈরি হয়ে প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। এই পুরসভাগুলির মেয়াদ গত ২০১৮ সালের অক্টোবর ও ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই পুরসভাগুলি হল, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, আলিপুরদুয়ার, ডালখোলা, বালুরঘাট, বহরমপুর, চাকদহ, কৃষ্ণনগর, পানিহাটি, হাবড়া, হাওড়া পুরনিগম, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বর্ধমান, গুসকরা এবং দুবরাজপুর। এইসব পুরসভায় প্রশাসক বসানো হয়েছে। সল্টলেক, আসানসোল বাদে বাকি সব পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা এপ্রিল, মে ও জুন মাসে। পুর নির্বাচন আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার ছ’মাস আগে ভোট করা যায়।
নবান্নের পক্ষ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাতে পরিষ্কার যে, রাজ্যের পুর নির্বাচন এপ্রিল মাসেই হবে। ১১০টি পুরসভাতেই সেই ভোট নেওয়া হবে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের মতো যাতে কোনও অভিযোগ না আসে, সে ব্যাপারে সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। কারণ, আগামী বছর ২০২১ সালে রয়েছে রাজ্য বিধানসভার ভোট। পুরভোটে গোলমালের ঘটনা ঘটলে, তার প্রভাব পড়বে বিধানসভার ভোটে। তাই সর্তক নবান্ন। সেই বার্তা যেমন দলের অন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, তেমনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখে ঘর গোছাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবশ্য বসে নেই অন্য বিরোধী দলগুলি। এদিনের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে পুরভোটের দামামা বেজে উঠল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।